ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে ইরান দখলদার ইসরায়েলের কৌশলগত লক্ষ্যবস্তুতে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি সাধন করে, যার মধ্যে আইওএফ ঘাঁটিও রয়েছে।
একটি ইহুদিবাদী গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে হামলার আগে ইসরায়েল তার বেশিরভাগ যুদ্ধবিমান বিদেশে সরিয়ে নিয়েছিল।
আইওএফ মুখপাত্রের অস্বীকার ও সামান্য ক্ষতির বিষয়ে প্রকাশিত নথি সত্ত্বেও ইসরায়েলি বিমান-ঘাঁটিগুলো তথা আইওএফ ঘাঁটিগুলো প্রকৃতপক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর ক্ষতি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ইহুদিবাদী গণমাধ্যমের রিপোর্টে এসেছে, এই ঘটনাগুলোকে যুদ্ধের কিছু সাফল্য হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে, পাশাপাশি `টেল শেমেম` সিস্টেমের উপর ভয়াবহ আঘাত, যা দৃশ্যত বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগসহ বিলীন বা অদৃশ্য হয়ে গেছে।
আইওএফ ঘাঁটির ক্ষয়ক্ষতির ভিডিও অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু সেন্সরশিপের কারণে আমাদের সেগুলি শেয়ার করতে নিষেধ করা হয়েছে বলে ইসরায়েলি সংবাদ-মাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
ইসরায়েল গত ১৩ জুন ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসী যুদ্ধ শুরু করে, হামলায় বেশ কজন ইরানি শীর্ষ সামরিক কমান্ডার এবং বিজ্ঞানী শহীদ হন। এ ছাড়াও আবাসিক এলাকাযগুলোয় ইসরায়েলি হামলায় বেসামরিক নাগরিকরাও হত্যাযজ্ঞের শিকার হন। এইসব হামলায় নারী ও শিশুসহ ১,০০০ জনেরও বেশি ইরানি নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে।
২২শে জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও যুদ্ধে প্রবেশ করে এবং তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালায়, অবশ্য শেষ পর্যন্ত ইসরায়েল-এর দাবিতে যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে সংঘাতের অবসান ঘটে। ২৪শে জুন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। ইরানি সশস্ত্র বাহিনী ইসরায়েলি ও মার্কিন হামলার তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে ইসরায়েল-অধিকৃত অঞ্চলগুলো ছাড়াও এবং কাতারে অবস্থিত একটি প্রধান আমেরিকান বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায়।
একুশে সংবাদ/এসআর



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

