প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘কালমেগি’ মধ্য ফিলিপাইনে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। বন্যা ও ভূমিধসের কারণে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১২৭ জন। ঝড়টি বর্তমানে ভিয়েতনামের উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। খবর: এএফপি।
গত কয়েক দিনে সেবু প্রদেশ ও আশপাশের এলাকাগুলোতে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। প্লাবিত হয়েছে শহরের রাস্তা, ডুবে গেছে বাড়িঘর, যানবাহন ও নদীতীরবর্তী স্থাপনা, এমনকি বিশাল জাহাজের কনটেইনারও ভেসে গেছে।
দেশটির জাতীয় দুর্যোগ প্রতিরক্ষা দপ্তর বৃহস্পতিবার জানায়, সরকারি হিসেবে ১১৪ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে সেবু প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত ২৮ জনের মৃত্যুর তথ্য যুক্ত করলে নিহতের সংখ্যা ১৪০ ছাড়িয়ে যায়।
সেবু সিটির লিলোয়ান এলাকায় উদ্ধারকর্মীরা এখন পর্যন্ত ৩৫টি মরদেহ উদ্ধার করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বন্যার পানিতে গাড়ি স্তূপীকৃত হয়ে আছে, বহু ভবনের ছাদ ও দেয়াল ধসে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ২৯ বছর বয়সী অ্যাটন জানান, তার প্রতিবন্ধী বোন বন্যার পানিতে ঘরে আটকা পড়েন। তিনি ও তার বাবা ছুরি ও শাবল দিয়ে দরজা খোলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পানির চাপ বাড়তে থাকায় তারা জানালা ভেঙে কোনোমতে সাঁতরে বেরিয়ে আসেন। অ্যাটনের ভাষায়, “বাবা বলেছিলেন, যদি আমরা ফিরে যাই, তিনজনই মারা যাব।”
নেগ্রোস দ্বীপেও অন্তত ৩০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট স্টিফেন পলিনার জানান, টাইফুনের ভারী বৃষ্টিতে কানলাওন আগ্নেয়গিরির ঢালে কাদা ও ছাইয়ের স্তর ধসে বহু ঘরবাড়ি মাটিচাপা পড়ে। তিনি আরও বলেন, গত বছরের অগ্ন্যুৎপাতের পর সঞ্চিত পদার্থ বৃষ্টির পানিতে আলগা হয়ে নিচের গ্রামগুলোতে নেমে আসে।
অন্যদিকে, দুর্গত এলাকায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার সময় একটি সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ছয়জন ক্রু সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

