ফিলিস্তিনের গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল—এমন অভিযোগ তুলেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির দাবি, ১০ অক্টোবরের যুদ্ধবিরতির পর থেকে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ গাজায় ত্রাণ পাঠানোর ১০৭টি আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে।
জাতিসংঘ জানায়, বাতিল হওয়া এসব আবেদনের মধ্যে ছিল কম্বল, শীতবস্ত্র, বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসেবার জরুরি সরঞ্জাম। অনুমতি না পাওয়ায় এসব ত্রাণ এখনো সীমান্তে আটকে আছে। শুক্রবার তুরস্কের গণমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, “আমাদের অংশীদার সংগঠনগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ১০ অক্টোবরের পর থেকে মোট ১০৭টি ত্রাণ আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। এগুলোর বেশিরভাগই স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার পক্ষ থেকে করা হয়েছিল।”
তিনি আরও জানান, প্রত্যাখ্যাত আবেদনগুলোর ৯০ শতাংশ এসেছে ৩৩০টিরও বেশি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা থেকে। এর অর্ধেকেরও বেশি আবেদন বাতিলের কারণ হিসেবে ইসরায়েল জানিয়েছে, ত্রাণ সংস্থাগুলোর অনুমোদন “অসম্পূর্ণ” বা “অগ্রহণযোগ্য”।
জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় দপ্তর (ওসিএইচএ)-এর তথ্য উদ্ধৃত করে ফারহান হক বলেন, “ইসরায়েলি বাহিনী এখনো গাজা সিটি, খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চল ও রাফাহ এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। সেখানে নিয়মিতভাবে আবাসিক ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে।”
তিনি সতর্ক করে বলেন, “তথাকথিত ইয়েলো লাইন সংলগ্ন এলাকায় অব্যাহত হামলায় বেসামরিক নাগরিক ও ত্রাণকর্মীদের জীবন বিপন্ন হচ্ছে।” একই সঙ্গে তিনি ইসরায়েলি বাহিনীকে স্মরণ করিয়ে দেন, “যুদ্ধক্ষেত্রে বেসামরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই তাদের আন্তর্জাতিক আইনি দায়িত্ব।”
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

