AB Bank
  • ঢাকা
  • সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সার্কের বিকল্প জোট গড়ছে চীন-পাকিস্তান, যুক্ত আছে বাংলাদেশও


Ekushey Sangbad
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০১:২২ পিএম, ৩০ জুন, ২০২৫

সার্কের বিকল্প জোট গড়ছে চীন-পাকিস্তান, যুক্ত আছে বাংলাদেশও

দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ায় এবার এর বিকল্প একটি নতুন জোট গঠনের পরিকল্পনায় যৌথভাবে কাজ করছে চীন ও পাকিস্তান। এই উদ্যোগে বাংলাদেশও সংযুক্ত হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি চীনের কুনমিং শহরে বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (৩০ জুন) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায়।

কূটনৈতিক একাধিক সূত্রের বরাতে খবরে বলা হয়, চীন ও পাকিস্তান এখন এমন একটি আঞ্চলিক কাঠামো তৈরি করতে চায়, যা দক্ষিণ এশিয়ায় বাণিজ্য ও সংযুক্তি বাড়াতে সহায়ক হবে। দেশ দুটি মনে করে, সার্কের স্থবিরতার কারণে আঞ্চলিক ঐক্য ও অগ্রগতি ব্যাহত হচ্ছে, ফলে বিকল্প কোনো প্ল্যাটফর্ম জরুরি হয়ে উঠেছে।

জুনের ১৯ তারিখে কুনমিংয়ে আয়োজিত ত্রিপাক্ষিক বৈঠকটিকে এই নতুন উদ্যোগের প্রথম দিকের পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বৈঠকে ভারতসহ অন্যান্য সার্কভুক্ত দেশকে এই উদ্যোগে যুক্ত করার প্রসঙ্গও আলোচনায় আসে।

খবরে আরও বলা হয়, ভারতকে নতুন জোটে অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনা থাকলেও দিল্লি এতে সাড়া দেবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ ভারতের আঞ্চলিক কৌশল ও বৈদেশিক নীতি এ ধরনের উদ্যোগের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে বিশ্লেষকদের অভিমত।

তবে শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, আফগানিস্তানসহ আরও কয়েকটি দেশ এই নতুন আঞ্চলিক উদ্যোগে অংশ নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দীর্ঘদিন ধরে সার্ক কার্যত অকার্যকর। সর্বশেষ সার্ক সম্মেলন ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত হলেও ২০১৬ সালে ইসলামাবাদে নির্ধারিত সম্মেলন ভারতের বয়কটের কারণে বাতিল হয়ে যায়। সে সময় ভারতপন্থি অবস্থানে থাকা বাংলাদেশের সরকারও তাতে অংশ নেয়নি।

এরপর সার্ককে পুনরায় সক্রিয় করার কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এমনকি পাকিস্তান ব্যবসায়ীদের জন্য ভারতের দেওয়া বিশেষ ভিসা সুবিধাও বাতিল করে, যা সার্কের ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত করে তোলে।

নতুন প্রস্তাবিত জোটের প্রধান লক্ষ্য হবে আঞ্চলিক বাণিজ্য ও অবকাঠামোগত সংযোগ বাড়ানো। মতাদর্শগতভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে কার্যকর সহযোগিতা নিশ্চিত করাই হবে এর মূল লক্ষ্য।

পর্যবেক্ষকদের মতে, ভারত সম্প্রতি সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও) থেকেও অনেকটা আলগা মনোভাব দেখাচ্ছে। গত দুইটি এসসিও সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অংশ নেননি। ফলে চীন, রাশিয়া, ইরান ও পাকিস্তানসমৃদ্ধ জোট থেকে ভারতের আস্থা ও সম্পৃক্ততা কমছে বলেই মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক।

 

একুশে সংবাদ/ঢ.প/এ.জে

Link copied!