মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মিসর সফর করবেন। গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির বিষয়ে তিনি মিসরীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, ব্লিঙ্কেন এমন একটি চুক্তি করার প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করবেন যা সব ইসরায়েলি বন্দীর মুক্তি নিশ্চিত করে, ফিলিস্তিনি জনগণের কষ্ট লাঘব করে এবং বৃহত্তর আঞ্চলিক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করে।
কয়েক মাস ধরে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মধ্যে একটি চুক্তি করার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর। তাদের লক্ষ্য এই চুক্তির মাধ্যমে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ এবং ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: গাজার ৯০ শতাংশ শিশুকে পোলিও টিকা দেয়া হয়েছে: জাতিসংঘ
তবে চুক্তির ক্ষেত্রে দুটি প্রধান বাধা সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। মিসর ও গাজার মধ্যবর্তী ফিলাডেলফি করিডোরে নিজেদের বাহিনী রাখতে চায় ইসরায়েল। তবে এটি মানতে নারাজ হামাস। এ ছাড়া ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিনিময়ে জিম্মি মুক্তির বিষয় নিয়েও দুপক্ষের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যা ছাড়াও প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে বন্দী করে গাজায় নিয়ে আসে হামাস। একই দিন থেকে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা করে আসছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে তাদের হামলায় ৪১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।
গত নভেম্বরে কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সাতদিনের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল। চুক্তির আওতায় হামাস শতাধিক ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তিও দেয়। তবে এখনো তাদের হাতে শতাধিক ইসরায়েলি বন্দী রয়েছে।
একুশে সংবাদ/ এস কে