সৌদি আরবের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান প্রিন্স তুর্কি আল-ফয়সাল মন্তব্য করে বলেছেন, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সৌদি আরব এবং ইসরাইলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না । লন্ডন-ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক চ্যাথাম হাউসে এক বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রিন্স তুর্কি আল-ফয়সাল যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি বলেন,যুক্তরাষ্ট্র আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদার করতে এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য ইসরাইল ও সৌদি আরবের মধ্যে আলোচনা পুনরায় শুরু করতে আগ্রহী। কিন্তু রিয়াদের অবস্থান হলো যদি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ইসরাইল স্বীকার করে, তবেই সৌদি আরব সম্পর্ক স্বাভাবিক করার কথা ভাববে।
তুর্কি আল-ফয়সাল বলেন, ‘একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা শুধু সৌদি আরবের সঙ্গেই নয়, বাকি মুসলিম বিশ্বের সঙ্গেও ইসরাইলের সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
সৌদি আরবের এই কূটনীতিক আরও বলেন, ‘ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য সৌদি আরবের কাছে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রাথমিক শর্ত, কিন্তু ইসরাইলের পক্ষ থেকে দেশটির পুরো সরকার বলছে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র বলতে কিছু নেই।’
ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইসরাইলকে সৌদি আরবের নীতি মনে করিয়ে দিয়ে প্রিন্স তুর্কি বলেন, ১৯৬৭ সালের সীমান্ত অনুসরণ করে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে থাকবে সৌদি আরব।
এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতও জানিয়েছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া গাজা ইস্যুতে ইসরাইলের কোনো পরিকল্পনা মেনে নেবে না তারা। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া পোস্টে এই তথ্য জানান দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হলে গাজায় যুদ্ধ পরবর্তী কোনো পরিকল্পনাকে সমর্থন করতে প্রস্তুত নয় সংযুক্ত আরব আমিরাত।
একুশে সংবাদ/স.ট./সাএ
আপনার মতামত লিখুন :