জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, “দেশের জনগণের সম্পদ চুরি করা, দলীয় কর্মীদের দিয়ে চাঁদাবাজি বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গণরুম স্থাপন করার কোনো অভিজ্ঞতা জামায়াতের নেই। সর্বপর্যায়ে মাথা থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত দুর্নীতি করার অভিজ্ঞতাও আমাদের নেই।”
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর ভাসানটেক এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা-১৭ আসনের আয়োজিত যুব, ছাত্র ও নাগরিক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, “আগামী সংসদ নির্বাচনে জনগণ যাদের কর্মসূচি সমর্থন করে, যাদের বক্তব্যে আস্থা রাখে, তারা নির্বাচিত হবেন। আমরা তাদের অভিনন্দন জানানোর জন্য এখন থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
ডা. শফিকুর আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, কিন্তু এখনও পুরোপুরি নির্মূল হয়নি। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, দখলদারি, মা–বোনদের ইজ্জত নিয়ে টানাটানি এবং দেশকে অস্থির করার অশনি সংকেত—এই পাঁচটি লক্ষণ এখনও আছে।”
তিনি জানান, ক্ষমতায় গেলে সকল ফ্যাসিবাদ–বিরোধী রাজনৈতিক দলকে নিয়ে সরকার গঠন করা হবে। “আমরা আর বিভক্ত জাতি দেখতে চাই না এবং দেশের স্বার্থে দুশমনের চাষ কেউ বাংলাদেশে করতে পারবে না।”
জামায়াত আমির বলেন, “জামায়াত ইসলামী দেশ ছেড়ে পালায় না। দেশের জনগণ বস্তাপচা রাজনীতি আর দেখতে চায় না। নতুন বাংলাদেশ পুরোনো ফর্মুলায় চলবে না; নতুন ফর্মুলায় চলবে। জনগণ মানুষের সরকার দেখতে চায়।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, জামায়াতকে দেশের রাজনীতি থেকে ব্যান করার ষড়যন্ত্র চলছে। “আমরা দেশের মাটিতে থাকি, জীবন দিয়েছি, কিন্তু দেশ ছেড়ে পালাইনি। পুরোনো সন্ত্রাসীরা নতুন রূপে ফিরে আসতে পারে, কিন্তু জনগণের হৃদয়ে যে ভালোবাসার পোস্টার লেগে গেছে তা কেউ ছিঁড়তে পারবে না।”
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

