রাশিয়া ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনকে সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র। খবর বিবিসির
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যে সহায়তার অংশ হিসেবে এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভে পোঁছে যাবে, যার রেঞ্জ ৩০০ কিলোমিটার (১৯০ মাইল)।
এর আগে ইউক্রেনকে স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছিল ব্রিটেন ও ফ্রান্স, যার রেঞ্জ ছিল ১৫০ মাইলের মতো।
ইউক্রেনের একটি সামরিক সূত্র বিবিসিকে জানায়, এটি ব্যবহার করে রাশিয়ার সেভাস্তোপল বন্দরে হামলা করেছিল ইউক্রেন। তখনই তারা পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহারের গুরুত্ব অনুভব করে।
যুক্তরাষ্ট্র বা ইউক্রেন কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে এই ব্যপারে কোনো বক্তব্য দেয় নি। তবে জেলেনেস্কি তার সফর প্রসঙ্গে বলেন, আমি বিশ্বাস করি যে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে যা আলোচনা করছি তার বেশিরভাগই একটি চুক্তিতে পৌঁছতে সক্ষম হবে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেন। প্রথমদিকে বাইডেন ইউক্রেনকে আধুনিক অস্ত্র সরবরাহে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। তবে এখন পরিস্থিতির পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। কিয়েভ দূরপাল্লার রকেট সিস্টেম এবং প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স মিসাইলের সহায়তাও পাচ্ছে।
এদিকে ইউক্রেনকে উন্নত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দেয়ার কথা এমন সময়ে সামনে এলো যখন রাশিয়া অধিকৃত ক্রিমিয়া লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে ইউক্রেন। এসব ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে অন্তত একটি রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরীয় নৌ সদর দফতরে আঘাত হেনেছে। এতে সদরদফতরে আগুন ধরে গেছে।
বিবিসির প্রতিবেদন মতে, শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) ক্রিমিয়া লক্ষ্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইউক্রেনীয় বাহিনী। হামলার পর বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, সেবাস্তোপোলে একটি নৌঘাঁটিতে সফলভাবে হামলা চালিয়েছে তারা।
একুশে সংবাদ/ন.ট.প্র/জাহা



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

