ইরানের ২৯ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের
নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ব্যক্তি ও সংস্থাগুলোর সঙ্গে নাগরিকদের কোনো প্রকার লেনদেনে জড়িত হতে নিষেধ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
শনিবার আমিনির প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী সামনে রেখে এই নিষেধাজ্ঞা ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিস) এর ১৮ জন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ও ইরানের আইন প্রয়োগকারী বাহিনী (এলইএফ) ইরানের কারাগার সংস্থার প্রধানসহ ২৯ জন ব্যক্তি এবং গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া ইরানের ইন্টারনেট অবরোধের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম আউটলেটকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে- ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিস)‘র ১৮ জন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এবং ইরানের আইন প্রয়োগকারী বাহিনী (এলইএফ) এবং ইরানের কারাগার সংস্থার প্রধানসহ ২৯ জন ব্যক্তি এবং গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। একই সঙ্গে ইরানের ইন্টারনেট অবরোধের সাথে জড়িত কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম আউটলেটকেও লক্ষ্যবস্তু করে যুক্তরাষ্ট্র।
ব্রিটেনও পৃথকভাবে তেহরানের বাধ্যতামূলক হিজাব আইন প্রয়োগের জন্য ঊর্ধ্বতন ইরানি সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের লক্ষ্য করে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়। এর মধ্যে রয়েছে ইরানের সংস্কৃতি ও ইসলামিক দিকনির্দেশনা বিষয়ক মন্ত্রী, তার ডেপুটি, তেহরানের মেয়র এবং ইরানি পুলিশের একজন মুখপাত্র।
পোশাক পরিধানে নিয়ম অনুসরণ না করায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে নৈতিক পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন ইরানি কুর্দি নারী মাহসা আমিনি। এরপর ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশি হেফাজতে তার মৃত্যু হয়। এরপরই হাজার হাজার ইরানি নাগরিক প্রতিবাদে নামে। মাসব্যাপী এ প্রতিবাদে অনেক নাগরিককে গ্রেপ্তার করে ইরান সরকার।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :