গাজার মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক—এটাই চান যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, গাজার বাসিন্দারা বাস্তবিক অর্থেই "নরকের মধ্য দিয়ে" যাচ্ছেন।
শুক্রবার (৪ জুলাই) তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এক প্রতিবেদনে জানায়, বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্প এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “আমি চাই গাজার মানুষ নিরাপদে থাকুক। এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ওরা সত্যিই নরকের ভেতর দিয়ে গেছে।”
এই বক্তব্য তিনি দেন একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে। সাংবাদিকটি জানতে চেয়েছিলেন— ট্রাম্প কি এখনও মনে করেন যে যুক্তরাষ্ট্রের গাজা নিয়ন্ত্রণ করা উচিত?
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প প্রথমবারের মতো গাজা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার প্রস্তাব দেন, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে তিনি সেই প্রস্তাব পুনরায় উত্থাপন করেছেন।
সপ্তাহের শুরুতে দেওয়া আরেক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, “আমি আশা করছি, আগামী সপ্তাহেই গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি হতে পারে।” তিনি আরও জানান, তিনি শিগগিরই ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে গাজা ও ইরান ইস্যুতে বৈঠকে বসবেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় দমন-পীড়নের নামে বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর একাংশ এই অভিযানকে “গণহত্যা” বলেও আখ্যায়িত করেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, চলমান অভিযানে এখন পর্যন্ত ৫৭ হাজার ১০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
বিশ্বজুড়ে এই সহিংসতা বন্ধ এবং গাজায় মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার দাবি ক্রমেই জোরালো হচ্ছে।
একুশে সংবাদ//ঢা.প//র.ন