দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবি আদায়ে আগামীকাল রোববার (৯ নভেম্বর) থেকে সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে প্রাথমিক শিক্ষকদের চার সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত মোর্চা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’।
শনিবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে আন্দোলনরত শিক্ষকরা এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন।
এর আগে বিকেলে শিক্ষকদের শাহবাগ অভিমুখে পদযাত্রা শুরু হলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল ব্যবহার করে। এতে কয়েকজন শিক্ষক আহত হন বলে জানা গেছে।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দশম গ্রেডে বেতন ও অন্যান্য দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’, যার সঙ্গে যুক্ত চারটি সংগঠন হলো— বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (কাশেম–শাহিন), বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (শাহিন–লিপি), সহকারী শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ ।
এ আন্দোলনে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের তৃতীয় ধাপে নিয়োগ পাওয়া সহকারী শিক্ষকরা সংহতি জানিয়েছেন।
দীর্ঘদিন ধরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডের দাবি জানিয়ে আসলেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় এবার তারা সরাসরি দশম গ্রেডের দাবিতে মাঠে নেমেছেন।
শিক্ষকরা বলছেন, পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর, সিনিয়র স্টাফ নার্স, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা দশম গ্রেডে বেতন পান; অথচ একই যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও প্রাথমিক শিক্ষকদের বঞ্চিত করা হচ্ছে।
দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের তিন দফা দাবি:
১.সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেডে বেতন-ভাতা প্রদান।
২.১০ ও ১৬ বছর চাকরি পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড সংক্রান্ত জটিলতার স্থায়ী সমাধান।
৩. সহকারী শিক্ষকদের জন্য শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা।
শিক্ষকরা জানিয়েছেন, এ দাবিগুলো কেবল বেতন কাঠামোর বিষয় নয়, বরং প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রয়োজনীয় পেশাগত মর্যাদা ও প্রণোদনার দাবি। তারা ঘোষণা দিয়েছেন—দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান ও কর্মবিরতি কর্মসূচি চলবে।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

