AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের পাসের হারে  অসন্তোষ শিক্ষার্থীরা


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০১:৪৪ পিএম, ২৭ জুলাই, ২০২১
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের পাসের হারে  অসন্তোষ শিক্ষার্থীরা

গত ২০ জুলাই প্রকাশিত হয়েছে,  জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের  ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার ফলাফল।   ২৬ জুলাই (সোমবার) সমন্বিত ফলাফল (CGPA) প্রকাশ করা হয়েছে। এবার গড় পাসের হার ৭২ শতাংশ। এই ফলাফলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সারাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনস্ত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

তাদের অভিযোগ, সশরীরে পরীক্ষায় অংশ নিলেও ফলাফলে অনেককে অনুপস্থিত দেখিয়ে ফেল করানো হয়েছে। দায়সারাভাবে খাতা মূল্যায়ন করায় ভালো পরীক্ষা দিয়েও ফেল করেছেন অনেকে। ফল নিয়ে অসন্তোষে থাকা শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন। আন্দোলনের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংঘটিত হচ্ছেন তারা। 

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনার মধ্যে প্রথমবারের মতো অনলাইনে ভাইভা নেওয়া হয়েছে। এখানে কাউকে অনুপস্থিত দেখাতে পারে। তবে এটা সংশোধনের সুযোগ আছে। করোনার অজুহাতে অনেকেই পাস চাচ্ছেন। এটা তো সম্ভব না।

সব পরীক্ষায় অংশ নিলেও ‘ওয়েস্টার্ন লিটারেরি থিওরি’ বিষয়ের পরীক্ষায় অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে বলে দাবী করেন গভ. সিটি কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থী। 

এদিকে, কোনো কোনো শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন গণহারে ফেল করানোর। তেজগাঁও কলেজ থেকে পরীক্ষা অংশ নেওয়া অপর একজন বলেন, ফলাফলে দেখা গেছে, ‘অর্গানাইজেশনাল বিহেভিয়ার’ বিষয়ে তাকে অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে।তার অভিযোগ কলেজে অনেক শিক্ষার্থীকে গণহারে এই বিষয়ে এফ গ্রেড দেওয়া হয়েছে। খাতা দেখায় অসঙ্গতির কারণেই এমন ফলাফল বলে দাবি তার।

শিক্ষার্থীরা জানান, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা শুরু হয়। করোনার কারণে দফায় দফায় পরিবর্তন করা হয় পরীক্ষাসূচির। এরপর চলতি বছরের জুনে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে এই পরীক্ষা শেষ হয়। শিক্ষার্থীরা বলছেন, জুনে মৌখিক পরীক্ষা শেষ করার পর তাড়াহুড়া করে ফল প্রকাশের কারণেই নানা অসঙ্গতির সৃষ্টি হয়েছে। 

ফেল করা ছাত্র-ছাত্রীরা বলছেন, পরীক্ষা শুরুর পর করোনা হানা দেওয়ায় শুধু চতুর্থ বর্ষেই প্রায় আড়াই বছর কেটে যাচ্ছে। এরমধ্যে খাতা দেখায় অসঙ্গতির ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা ফেল করলে আরেক বছর পিছিয়ে যাবে। এছাড়া পুনঃমূল্যায়নের আবেদন, ফরম পূরণ ছাড়াও বিভিন্ন খাতে অনেক টাকাও খরচ হবে তাদের। সবমিলে দুর্ভোগের শেষ থাকবে না অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের। তাই পুরো ফল খতিয়ে দেখার আবেদন করেছেন তারা।

জানতে চাইলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. মশিউর রহমান বলেন, কলেজের শিক্ষকরাই খাতা মূল্যায়ন করেন। শুধু ফল প্রকাশের দায়িত্ব থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের। ফলাফল প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রোগ্রামিংয়ে কোথাও ভুল হতে পারে, যেটা খুব সামান্য। এমনটি হলে সংশোধন করা হবে। শিক্ষার্থীরা যদি মনে করেন যথাযথ ফল পাননি, সেক্ষেত্রে তার পুনঃমূল্যায়নের আবেদনের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু অনেকে করোনার দোহাই দিয়ে পাস চাইছেন, তা সম্ভব নয়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় কেউ ফেল করবে কেউ পাস করবে এটাই স্বাভাবিক।

উপাচার্য বলেন, কেউ পরীক্ষায় অংশ নিলে তার তো রেকর্ড রয়েছেই। তাছাড়া মৌখিক পরীক্ষা জুম প্লাটফর্মে নেওয়া হয়েছে। তাই কে কে পরীক্ষা দিয়েছেন সেই রেকর্ড আমাদের কাছে আছে। পরীক্ষায় উপস্থিত থেকেও কাউকে অনুপস্থিত দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পেলে ফল সংশোধন করা হবে।

২০১৯ সালের অনার্স ৪র্থ বর্ষ পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলের উত্তরপত্র পুন:নিরীক্ষণের জন্য আগামী ২৯ জুলাই (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টা থেকে ২১ আগস্ট (শনিবার) রাত ১২টা পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করা যাবে। 

এক্ষেত্রে ২২ আগস্ট (রোববার) বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া যাবে। এ বিষয়ে তথ্য জানা যাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (www.nu.ac.bd)।

একুশে সংবাদ/স/তাশা 

Link copied!