AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী
উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যবই

ন্যায্যমূল্যে সব শিক্ষার্থীর বই প্রাপ্তি নিশ্চিত করুন


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
১০:৫৩ এএম, ৫ অক্টোবর, ২০২০
ন্যায্যমূল্যে সব শিক্ষার্থীর বই প্রাপ্তি নিশ্চিত করুন

উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যবই নিয়ে কারসাজির বিষয়টি অনভিপ্রেত। ১ অক্টোবর থেকে বাজারে বিক্রি শুরু হওয়া এসব পাঠ্যবই নিয়ে ইতোমধ্যে সৃষ্টি হয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। এর কারণ, এ বছর উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তিকৃত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১৩ লাখ; অথচ প্রতিটি বিষয়ে ১০ লাখ করে বই ছাপাচ্ছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, বাকি তিন লাখ শিক্ষার্থী বই পাবে কোথায়?

উল্লেখ্য, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্লাস অবশেষে নির্ধারিত সময়ের তিন মাস পর রোববার থেকে শুরু হয়েছে; যদিও করোনার কারণে এসব শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে যোগ দেবে। উচ্চ মাধ্যমিকে মোট ৩৯টি বিষয়ে পাঠদান করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে ৩৫টি বইয়ের কারিকুলাম সরকার তৈরি করে দেয়। পরে সেটার আলোকে পাঠ্যবই রচনা করে বেসরকারি প্রকাশকরা এনসিটিবি থেকে অনুমোদন নিয়ে বাজারজাত করে থাকে। এর বিনিময়ে একটি ফি জমা নেয় এনসিটিবি। তবে বাংলা, ইংরেজি, বাংলা সহপাঠ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি)- এই চার বিষয়ের বই সরকারিভাবে বাজারজাত করা হয়ে থাকে।

অভিযোগ উঠেছে, কার্যাদেশ অনুযায়ী অনুমোদিত ঠিকানায় বই মুদ্রণের কথা থাকলেও এ বছর এনসিটিবি হঠাৎ করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভিন্ন ঠিকানায়ও বই ছাপানোর সুযোগ দিয়েছে। কমসংখ্যক ও ভিন্ন ঠিকানায় বই মুদ্রণের কারণে সরকারের কয়েক লাখ টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে বেসরকারি বিভিন্ন প্রকাশক অনুমোদিত বইয়ের পৃষ্ঠা ও মূল্য বাড়িয়ে বিক্রি করায় শিক্ষার্থীদের পকেট থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হবে, যা মোটেই কাম্য নয়। চাহিদা অনুযায়ী সঠিক সময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে বই সরবরাহের দায়িত্ব সরকারের। সরকারের গাফিলতির কারণে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা কোনোমতেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা মনে করি, স্থায়ীভাবে এসব সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত।

দুঃখজনক হল, শুধু উচ্চ মাধ্যমিকের বই নয়, বিভিন্ন শ্রেণির বই নিয়ে প্রতিবছরই নানা ধরনের জটিলতা তৈরি হয়। দেশের শিক্ষার্থীদের মঙ্গলচিন্তার দায়িত্বভার যেহেতু এনসিটিবির হাতে ন্যস্ত, তাই এ ব্যাপারে দক্ষতা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিরাজমান দুর্নীতি বন্ধের পদক্ষেপ সরকারকেই নিতে হবে। একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী ন্যায্যমূল্যে পাঠ্যপুস্তক সরবরাহের ক্ষেত্রে যে নৈরাজ্য সৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে, তা সমাধান করার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়েও সরকার দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবে, এটাই প্রত্যাশা।

Link copied!