বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, খাদ্য মূল্যস্ফীতি ঝুঁকিতে ‘লাল তালিকায়’ রয়েছে বাংলাদেশ। টানা প্রায় দুই বছর ধরে এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে। সম্প্রতি সংস্থাটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খাদ্যনিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে, যা প্রতি ছয় মাস অন্তর প্রকাশ করা হয়।
বিশ্বব্যাংক ১০ থেকে ১২ মাসের খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার বিশ্লেষণ করে দেশগুলিকে চারটি ভাগে শ্রেণিবদ্ধ করেছে:
বেগুনি শ্রেণি: ৩০ শতাংশ বা তার বেশি খাদ্য মূল্যস্ফীতি
লাল শ্রেণি: ৫ থেকে ৩০ শতাংশ খাদ্য মূল্যস্ফীতি
হলুদ শ্রেণি: ২ থেকে ৫ শতাংশ
সবুজ শ্রেণি: ২ শতাংশের নিচে
বাংলাদেশের পাশাপাশি লাল তালিকায় রয়েছে আরও ১৪টি দেশ: কঙ্গো, অ্যাঙ্গোলা, ইথিওপিয়া, গাম্বিয়া, গিনি, মাদাগাস্কার, ঘানা, ভারত, লাওস, লেসেথো, তিউনিসিয়া, জাম্বিয়া, বেলারুশ এবং রাশিয়া।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিশ্ববাজারে ফেব্রুয়ারির পর কৃষিপণ্য ও শস্যের দাম ৪ থেকে ৮ শতাংশ কমেছে। তবে সরবরাহ সংকট ও আবহাওয়া জনিত সমস্যার কারণে ভবিষ্যতে মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। ভুট্টার দাম ১৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছালেও চালের দাম দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে নেমেছে।
সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে সবুজ শ্রেণিভুক্ত আটটি দেশ: সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, সৌদি আরব, ম্যাকাও, চীন, ফ্রান্স, ফিনল্যান্ড এবং বেনিন। অন্যদিকে, টানা এক বছর ধরে বেগুনি শ্রেণিতে রয়েছে মালাওয়ি, দক্ষিণ সুদান, হাইতি, মিয়ানমার, আর্জেন্টিনা ও তুরস্ক — যেখানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বেশি।
বাংলাদেশের প্রসঙ্গে বলা হয়, দেশে প্রায় তিন বছর ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে টানা ১০ মাস খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপরে ছিল। গত বছরের জুলাইয়ে এটি ১৪.১০ শতাংশে পৌঁছায়, যা ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত গড় খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০.৪৪ শতাংশ।
একুশে সংবাদ//ই.ফ//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :