AB Bank
ঢাকা সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

অনলাইনে চটকদার বিজ্ঞাপনে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ সাবেক যুগ্ম সচিবের পরিবারের


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০১:২০ পিএম, ২২ অক্টোবর, ২০২৩
অনলাইনে চটকদার বিজ্ঞাপনে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ সাবেক যুগ্ম সচিবের পরিবারের

সাবেক এক যুগ্ম সচিবের স্ত্রী, ছেলে ও ছেলের বউসহ কয়েকজন ভুয়া প্রতিষ্ঠান খুলে অনলাইনে চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকের ঋণ পাইয়ে দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। চক্রটির পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ইউনিট। গত ২০ অক্টোবর মতিঝিল ও বনশ্রী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

 

যদিও ডিবি সাবেক ওই যুগ্ম সচিবের পরিচয় প্রকাশ করেনি।

 

গ্রেপ্তার পাঁচ জন হলেন- মো. আরিফ হাসান রনি, মো. সুমন (৩), রাসেল, হাবিব ও খন্দকার মো. ফারুক। ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগের মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন এবং এডিসি মো. সাইফুর রহমান আজাদের সার্বিক তদারকিতে ফাইনান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের ইনচার্জ অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

 

গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান খুলে অনলাইনে চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে লোন পাইয়ে দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে মতিঝিলসহ বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নামে অফিস খুলে ভুয়া চেক, বিভিন্ন ব্যাংক ঋণের ভুয়া স্যাংশন লেটার, স্ট্যাম্পে চুক্তিনামা, ভিজিটিং কার্ড, ভুয়া সিল ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। 

 

এজাহার সূত্রে জানা যায়, মামলার মূল আসামি সৈয়দ আরিফ হাসান রনি (৪৩) সাবেক যুগ্ম সচিবের ছেলে।  সে নিজেকে আইনজীবী হিসেবে পরিচয় দেয়। বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে এসএমই লোন, কৃষি লোন, হোম লোন, প্রবাসী ঋণ ইত্যাদি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ফেসবুকে বিভিন্ন পেজের মাধ্যমে চটকদার বিজ্ঞান দেন। বিজ্ঞাপনে প্রভাবিত হয়ে আগ্রহী গ্রাহকরা যোগাযোগ করলে সে প্রসেসিং ফি, সার্ভিস চার্জ, ডিসবার্সমেন্ট ফি ইত্যাদি নানা রকমের চার্জ ধার্য করে সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নেয়।

 

মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য তার বানানো বিভিন্ন ব্যাংকের নকল আবেদনপত্র, স্যাংশন লেটার ইত্যাদি প্রদান করতো। এভাবে বিভিন্ন ধাপে সে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নেয়। গ্রাহকরা প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে বুঝতে ৬-৭ মাস পর হয়ে যায়। এর মধ্যে সে তার অফিস পরিবর্তন করে নতুন স্থানে আবার অফিস খোলে। ব্যাংক লোনের বাইরেও বিদেশে লোক পাঠানোর নাম করে প্রতারণা, ট্যাক্স ফাইল/ট্রেড লাইসেন্স করে দেওয়া, কোম্পানি নিবন্ধন করে দেওয়ার নাম করেও প্রচুর টাকা হাতিয়ে নেয়। নতুন জায়গায় অফিস দিয়ে নতুন ধরনের প্রতারণায় যুক্ত হয়। প্রতারণার টাকায় ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবসাও খুলে বসে সে। প্রতারণার কাজে মূল আসামি আরিফ হাসান রনির স্ত্রী আফরোজা আক্তার বেবী (৫০), মা সেলিনা চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল প্রতাক্ষভাবে যুক্ত রয়েছে।

 

একুশে সংবাদ/ন.ট.প্র/জাহা

Link copied!