নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে সাতদিনের ব্যবধানে ৪ বার ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটে রিখটার স্কেলে ৩ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
এর আগে শুক্রবার ( ২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে প্রথম দফায় ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়, যা ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী। এ ভূমিকম্পে দুইজনের প্রাণহানি হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ নিজস্ব ভবনে ব্যাপক ফাটল দেখা দিয়েছিল। ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে সাবস্টেশনে আগুন ধরা মতো ঘটনাও ঘটেছে।
দ্বিতীয় দফায় পরের দিন শনিবার সকালে ও তৃতীয় দফায় একই দিন সন্ধ্যায় ভূকম্পন অনুভূত হয়। যার মাত্রা ছিল ৪.৩।
আজ বিকালে চতুর্থ দফা ভূমিকম্পে ঘোড়াশাল, পলাশ ও আশপাশের এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। অনেকে বাসাবাড়ি, হাসপাতাল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অফিস থেকে দ্রুত বেরিয়ে পড়েন। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি, তবে ভূমিকম্পের এমন ধারাবাহিকতা মানুষকে আতঙ্কিত করে তুলেছে।
ঘোড়াশালের পাইকসা গ্রামের সাইফুল বলেন, আমি অফিসে কাজ করছিলাম। হঠাৎ ভূমিকম্প অনুভূত হলে সহকর্মীদের দ্রুত অফিস থেকে বের হয়ে পড়ি। এবার মনে হয়েছিল এটা দীর্ঘস্থায়ী হলে ব্যাপক প্রাণহানি হতো। কিন্তু আল্লাহ আমাদের রক্ষা করেছেন।
ঘোড়াশালের সোনিয়া নামের এক গৃহিণী জানান, আজ ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার সময় ঘরের ভিতর বিশ্রামে ছিলাম। এসময় ঘরের ভিতর হঠাৎ কেঁপে উঠায় আমার ২ শিশু সন্তানকে ঘরের বাহিরে বের হয়ে আসি। আশে পাশের বাড়ির মানুষদের দেখেছি সবাই ঘরের বাহিরে চলে আসে।
এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের ৩ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎসস্থল নরসিংদীর ঘোড়াশাল। এর আগের তিনটি ভূমিকম্পের উৎপত্তিও নরসিংদীতে ছিল।
একুশে সংবাদ//এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

