রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দিনের প্রার্থীতা প্রত্যাহারের দাবিতে এবং মনোনয়ন বঞ্চিত জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য এডভোকেট সুলতানুল ইসলাম তারেকের অনুসারী ও নেতাকর্মীরা তানোরে মশাল মিছিল করেন। মিছিল ডাকবাংলো মাঠ থেকে শুরু হয়।
মিছিল পৌরসভা ও ভূমি অফিসের গেটের সামনে পৌঁছালে শরীফ উদ্দিনের অনুসারীরা মিছিলে হামলা চালায়। তারেকের অনুসারীরা ডাকবাংলো গেটে এসে পাল্টা ধাওয়া শুরু করেন। নিমিষেই দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ছুটাছুটি শুরু হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে আধাঘণ্টা ধরে উপজেলা পরিষদের মূল গেট থেকে ভূমি অফিসের গেট পর্যন্ত সংঘর্ষ চলেছে। এঘটনায় উভয় পক্ষের ইটের আঘাতে বেশ কয়েকজন আহত হন।
এর আগে বিকেল থেকেই ডাকবাংলো মাঠে অবস্থান নেয় তারেক গ্রুপের লোকজন, আর থানা মোড়ে অবস্থান নেন শরীফ গ্রুপের লোকজন। সন্ধ্যার আগ থেকেই থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পুলিশের ভূমিকা ছিল নিরব।
তারেকের অনুসারীরা জানান, প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে তানোর ডাকবাংলো মাঠ থেকে মাগরিবের নামাজ শেষে মশাল মিছিল বের করা হয়। মিছিল ভূমি অফিসে পৌঁছালে শরীফ উদ্দিনের অনুসারীরা হামলা চালিয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পাল্টা আক্রমণ শুরু করলে শরীফের লোকজন দৌড়ে পালায়। এঘটনায় পাকড়ী ইউপির রুবেল নামের এক কর্মীর পা ভেঙে যায়। তিনি দীর্ঘ সময় পৌর ভবনের দক্ষিণে বোটের গাছের কাছে পড়ে ছিলেন। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত উত্তেজনা চলে। ছয়টা চল্লিশ মিনিটের দিকে তারেকের লোকজন নিজ গন্তব্যে চলে যান।
তবে শরীফ অনুসারীদের দাবি, “তানোরের রাজনীতিকে অশান্ত করতে তারেকের গ্রুপ মশাল মিছিল বের করেছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে থানা মোড়ে অবস্থান করছিলাম। আমরা কোনভাবেই তাদের মশাল মিছিল করতে দিতে পারিনি।”
উপজেলা গেট থেকে ভূমি অফিস ও পৌরসভা গেট পর্যন্ত রাস্তার উপর ইটের টুকরো পড়ে আছে। বিআরডিবি অফিসের সামনে থাকা গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে।
এদিকে কলমা ইউনিয়ন ইউপিতে বিকেল থেকেই মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দিনের মিটিং চলছিল। অনুসারীরা দাবি করেন, সেখান থেকে নেতাকর্মীরা বের হয়ে তারেক গ্রুপের লোকজনের উপর হামলা চালায়।
পরে প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত, শরীফ অনুসারীরা গোল্লাপাড়া বাজারে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করেন এবং তারেক গ্রুপের লোকজন ডাকবাংলো মাঠে অবস্থান করেন। তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আফজাল হোসেনের মোবাইলে ফোন দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।
একুশে সংবাদ//এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

