AB Bank
  • ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

চাঁদার দাবীতে যুবদল কর্মীর হাতে বিএনপি কর্মী খুন



চাঁদার দাবীতে যুবদল কর্মীর হাতে বিএনপি কর্মী খুন

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ৯ নং ভোলাকোট ইউনিয়নের সাহারপাড়া এলাকায় চাঁদার দুই লাখ টাকা না দেওয়ায় মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে ইউসুফ হোসেন (৩৮) নামে স্থানীয় যুবদল কর্মী আনোয়ার হোসেন (৪৫) নামে এক বিএনপি কর্মীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে। হত্যাকাণ্ডের পর সাহারপাড়া এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং স্থানীয়দের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নিহত আনোয়ার ভোলাকোট ইউনিয়নের সাহারপাড়া গ্রামের আলী রেজা বেপারী বাড়ির বাসিন্দা ও স্থানীয় নাগমুদ বাজারের কনফেকশনারি ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি স্ত্রী, তিন মেয়ে ও এক ছেলের জনক ছিলেন। অভিযুক্ত ইউসুফ সাহারপাড়া গ্রামের মাইজের বাড়ির বাসিন্দা, প্রবাসী ছিলেন এবং প্রায় দেড় বছর আগে দেশে ফেরার পর আর বিদেশ যাননি।

স্থানীয়রা জানায়, সকালে আনোয়ার দোকান খুলে বসে ছিলেন। এরপরই ইউসুফ তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে দোকানের ভেতরের দিকে আনোয়ারকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বুকে ও পেটে আঘাত করে। পরে ইউসুফ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

নিহতের স্ত্রী ফারজানা আক্তার সাথী ও নিকটাত্মীয়রা জানান, তার স্বামী শ্যালককে বিদেশে পাঠানোর জন্য একটি সংস্থা থেকে দুই লাখ টাকা নিয়েছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে ইউসুফসহ আরও দুইজন সেই টাকা চাঁদা হিসেবে দাবি করছিল। কয়েক দিন ধরে তারা বারবার দোকানে এসে হুমকি দিচ্ছিল। মঙ্গলবার সকালে মোটরসাইকেলযোগে এসে তিনজন দোকানে ঢুকে আনোয়ারের বুকে ও পিঠে ধারালো অস্ত্রের আঘাত করে পালিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে আনোয়ারকে রামগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ভোলাকোট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুর রহিম মজুমদার বলেন, হত্যাকারী ইউসুফ যুবদলের কর্মী এবং নিহত আনোয়ার বিএনপির কর্মী। দুজনই দলের সাথে যুক্ত থাকলেও বড় কোনো পদে নেই।

রামগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কবির হোসেন কানন বলেন, ইউসুফ যুবদলের একজন সক্রিয় কর্মী। উপজেলার বিভিন্ন প্রোগ্রামে তাকে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে।

রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ফয়সাল জানান, আনোয়ার হোসেনের বুক ও পেটে একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।

রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারী বলেন, তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আনোয়ারের মৃত্যু হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে এবং হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ বিস্তারিতভাবে যাচাই করা হচ্ছে।

 

একুশে সংবাদ//এ.জে

Link copied!