শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে মাদারীপুরে ঢাকা–বরিশাল মহাসড়কে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করেছেন কার্যক্রম–নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এতে মহাসড়কে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত ডাসার উপজেলার গোপালপুর এলাকায় গাছ কেটে মহাসড়কে ফেলে রাখায় দীর্ঘ সময় যান চলাচল বন্ধ থাকে। রবিবার ভোরে মাদারীপুরের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গাছ ফেলে এবং টায়ার জ্বালিয়ে পুরো মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। এতে দুই পাশে শতাধিক যানবাহন আটকে পড়ে। নারী–শিশুসহ হাজারো যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রাতের আঁধারে কিছু উশৃঙ্খল কর্মী পরিকল্পিতভাবে গাছ কেটে সড়কে ফেলে, যাতে ভোর থেকেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে হাইওয়ে থানা পুলিশ, কালকিনি থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয় বিএনপি–জামায়াত নেতাকর্মীরা একযোগে গাছ সরানোর কাজে অংশ নেন। ঘণ্টাব্যাপী প্রচেষ্টায় গাছ অপসারণের পর আংশিকভাবে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবি ও সোমবার (১৬ ও ১৭ নভেম্বর) শাটডাউনের ঘোষণা দেন কার্যক্রম–নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার সকাল থেকে জেলার আটটি স্থানে গাছ ফেলে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। এ সময় অন্তত ২০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয় এবং পরে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।
মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর শেখ আহাদুজ্জামান বলেন, “প্রথমে কালকিনি ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গাছ সরানোর কাজ শুরু করে। পরে জেলা শহর থেকে আমরা যোগ দিই। গাছগুলো অপসারণের পর যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।”
মোস্তফাপুর হাইওয়ে পুলিশের ওসি মামুন আল রশিদ বলেন, “কিছু লোক গাছ কেটে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করেছিল। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত গাছ সরিয়ে নেয়। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে কাজ চলছে।”
একুশে সংবাদ//এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

