জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে শুক্রবার (৭ নভেম্বর ) এক বিশাল র্যালি ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার শ্যামগঞ্জ এলাকায় মইলাকান্দা ও সিধলা ইউনিয়ন বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা শত শত ধানের তোড়া, ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে অংশ নেন। পুরো এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে “ধানের শীষ! ধানের শীষ!”— এই প্রাণবন্ত স্লোগানে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুস সোবহান সুলতান। প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসাইন।
ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসাইন বলেন, “জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস শুধু একটি স্মরণীয় ইতিহাস নয়, এটি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকার। আজ দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়, ভোটের অধিকার চায়, আইনের শাসন চায়। গৌরীপুরের জনগণ ধানের শীষের প্রতি যে ভালোবাসা দেখাচ্ছে— তা প্রমাণ করে আগামী দিন জনগণেরই হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এই আন্দোলন ক্ষমতার জন্য নয়, জনগণের জন্য। বিএনপি জনগণের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ আব্দুর রহমান বাবুল, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. এমদাদ হোসেন তালুকদার, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আতাউর রহমান তারা মিয়া, ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ও যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন।
বক্তারা বলেন, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস দেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনর্জাগরণের এক ঐতিহাসিক মাইলফলক। দেশের গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও মুক্তচিন্তা রক্ষায় শ্যামগঞ্জের জনগণ ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
র্যালিতে অংশ নেওয়া স্থানীয় তরুণ শুভ বলেন, “আমরা পরিবর্তন চাই। মানুষ ধানের শীষে বিশ্বাস করে, তাই আজ শত শত মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাস্তায় নেমেছে।”
আরেক কৃষক বলেন, “ধানের শীষ কৃষকের প্রতীক। কৃষকের কথা বলবে এমন নেতৃত্বের দরকার— তাই আমরা ধানের শীষের পক্ষে।”
র্যালি শেষে শ্যামগঞ্জ বাজারে সংক্ষিপ্ত পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

