প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ঠেকানোর সাধ্য কারও নেই।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে নেত্রকোনা সার্কিট হাউস মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, “সারাদেশে এখন নির্বাচনের উৎসব শুরু হয়ে গেছে। রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থী বাছাইসহ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। যারা এখনো নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিচ্ছেন বা তা ঠেকানোর চেষ্টা করছেন, তারা পতিত স্বৈরাচারী সরকারের দোসর।”
তিনি গণমাধ্যমের প্রতি দায়িত্বশীলতার আহ্বান জানিয়ে বলেন,“বিদেশে টকশোতে যাদের আনা হয়, তারা সাধারণত সত্যবাদী ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। কিন্তু আমাদের দেশে উল্টোটা হয়—মিথ্যা বললে টকশো ‘গরম’ হয় বলে তাদেরই ডাকা হয়। এতে জনগণের কাছে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে।”
শফিকুল আলম বলেন, “মাইলস্টোন, সেন্টমার্টিন, উপদেষ্টাদের নাগরিকত্ব বা সেনাবাহিনী—সব বিষয়ে আমরা মিথ্যাচার দেখেছি। এসব প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমান সরকার বহু গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করেছে। সংস্কার কমিশনের কাজেও যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে, এর সুনির্দিষ্ট দলিল প্রকাশ করা হবে। তবে গণভোট বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি—এটি রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।”
এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, দেশে এখন কোনো ধরনের মব ভায়োলেন্স নেই।
“আগে দেশে মব ভায়োলেন্স ছিল, এখন তা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। যারা এসব নিয়ে ভয় দেখাচ্ছেন, তারা দুর্বল ও স্বৈরাচারের দোসর।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “৯ মাসে ৮৩ কোটি টাকা খরচ করে আলী রীয়াজ পালিয়ে গেছেন—এমন বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। এসবের কোনো ভিত্তি নেই। এখন ডাহা মিথ্যা বললেই অনেকের জনপ্রিয়তা বাড়ে।”
মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাফিকুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

