শেরপুরের নকলা উপজেলায় সরকারি কৃষি প্রণোদনা না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদীকে কর্তব্যরত অবস্থায় মারধরের ঘটনায় উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাহাত হাসান কাইয়ুমের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে নকলা উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে এবং বিকেলে জেলা খামারবাড়ি প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন নকলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ, বিসিএস কৃষি অ্যাসোসিয়েশন, এবং ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের নেতৃবৃন্দ। তারা ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন, যার মধ্যে কাইয়ুমকে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া অন্যতম।
এসময় বক্তব্য দেন—ময়মনসিংহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ড. সালমা লাইজু,ময়মনসিংহ অঞ্চলের উপপরিচালক সালমা আক্তার,তেলজাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের সিনিয়র মনিটরিং অফিসার খাইরুল আমিন শোয়েব,পার্টনার প্রকল্পের সিনিয়র মনিটরিং অফিসার ড. সালাহউদ্দিন কায়সার,শেরপুর জেলা, খামারবাড়ির উপপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন,অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) মো. আলমগীর কবীর, এবং ভুক্তভোগী কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদী।
উল্লেখ্য, গত ৫ নভেম্বর দুপুরে সরকারি কৃষি প্রণোদনা না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার অফিসকক্ষে ঢুকে তাকে মারধর করেন রাহাত হাসান কাইয়ুম ও তার সহযোগী ফজলু। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে নকলা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাহাত হাসান কাইয়ুমকে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

