আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। এতে করে সুন্দরগঞ্জে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা ও প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে।
সোমবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ডা. খন্দকার জিয়াউল ইসলাম মোহাম্মদ আলীকে গাইবান্ধা-১ আসনের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
ডা. খন্দকার জিয়াউল ইসলাম চন্ডিপুর ইউনিয়নের সীচা গ্রামের সন্তান। তিনি একজন খ্যাতনামা চক্ষু চিকিৎসক এবং পেশাগত দায়িত্বের কারণে অধিকাংশ সময় ঢাকায় অবস্থান করেন। চিকিৎসক হিসেবে সমাজে সুনাম অর্জনকারী এই প্রার্থীকে কেন্দ্র করে সুন্দরগঞ্জের বিএনপি অঙ্গনে নতুন উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
তবে জানা গেছে, প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার আগে বিএনপির মধ্যে একাধিক নেতা এই আসন থেকে মনোনয়নের প্রত্যাশী ছিলেন। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার পর থেকেই দলীয় নেতাকর্মীরা নতুন করে সংগঠিত হচ্ছেন।
অপরদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বেশ কিছুদিন আগে থেকেই তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। দলটির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গাইবান্ধা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বেলকা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. মাজেদুর রহমান গাইবান্ধা-১ আসনের প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হয়েছেন।
অধ্যাপক মাজেদুর রহমান রামজীবন ইউনিয়নের নিজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। শিক্ষকতা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি স্থানীয়ভাবে পরিচিত। নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকে তিনি উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার অলিগলিতে ঘুরে ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
দলীয় সূত্র জানায়, জামায়াতের স্থানীয় সংগঠন ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। মাজেদুর রহমানের নেতৃত্বে তারা ঘরে ঘরে প্রচারণা চালাচ্ছেন এবং দলীয় অবস্থান শক্তিশালী করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
দুই দলের প্রার্থী চূড়ান্ত ঘোষণার পর থেকেই সুন্দরগঞ্জে রাজনীতির মাঠ গরম হয়ে উঠেছে। নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে চলছে ব্যাপক আলোচনা ও বিশ্লেষণ।
এদিকে, গাইবান্ধা-১ আসনে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রার্থী ঘোষণা হয়নি। ফলে রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নীরবে মাঠে তৎপর থাকলেও কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন।
গাইবান্ধা-১ আসনে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী উত্তাপ বেড়ে গেছে। সুন্দরগঞ্জের রাজনৈতিক মহল, চায়ের দোকান থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পর্যন্ত সবখানেই প্রার্থীদের যোগ্যতা, জনপ্রিয়তা ও সম্ভাবনা নিয়ে জোর আলোচনা চলছে।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

