দেশ, ভাষা, সংস্কৃতি—সবকিছুই আলাদা। তবুও ভালোবাসার বাঁধন টানল তাদের একসূত্রে। সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তান থেকে নওগাঁর আত্রাইয়ে এসে প্রেমিক রবিউল হোসেনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন পাকিস্তানি তরুণী ফাইজা আমজাদ। এ ঘটনা ঘিরে এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ভিনদেশি নববধূকে একনজর দেখতে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা।
জানা গেছে, আত্রাই উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের বহলা গ্রামের আব্দুল মন্ডলের ছেলে রবিউল ইসলাম জীবিকার তাগিদে রাশিয়ায় যান। অপরদিকে, ফাইজা আমজাদও উচ্চশিক্ষার জন্য রাশিয়ায় অবস্থান করছিলেন। সেখানেই তাদের পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে।
রবিউল ইসলাম বলেন, “জীবিকার প্রয়োজনে রাশিয়ায় গিয়েছিলাম। ২০২৩ সালে ফাইজার সঙ্গে পরিচয় হয় এবং ধীরে ধীরে আমরা প্রেমের সম্পর্কে জড়াই। পরে ফাইজা বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। প্রথমে তারা আপত্তি জানালেও পরবর্তীতে সম্মতি দেয়। পরিবারের উপস্থিতিতে গত ২২ আগস্ট পাকিস্তানে আমাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।”
নববধূ ফাইজা আমজাদ বলেন, “আমি বাবা-মায়ের তৃতীয় সন্তান। রাশিয়ায় পড়াশোনার সময় রবিউলের সঙ্গে পরিচয় হয়। তাকে আমি অনেক ভালোবাসি। বাংলাদেশে এসে খুবই ভালো লাগছে। রবিউলের পরিবার আমাকে মেয়ের মতোই গ্রহণ করেছে। এখানকার মানুষও খুব আন্তরিক। আমি ভবিষ্যতে বাংলাদেশে নাগরিক হয়ে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করতে চাই।”
রবিউলের মা বলেন, “উভয় পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ে হয়েছে। বউটি আমাদের খুব পছন্দ হয়েছে। আসার পর থেকে সবাইকে সহযোগিতা করছে, সবার সঙ্গে ভালোভাবে মিশছে। তাকে দেখতে বাড়িতে মানুষ ভিড় করছে।”
শাহাগোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস. এম. মামুনুর রশিদ বলেন, “রবিউল ও ফাইজা আমার কার্যালয়ে এসেছিল। তাদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, দুজনেই ভালোবেসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে।”
এদিকে, আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদেশি তরুণীরা বাঙালি প্রেমিকের টানে বাংলাদেশে আসার খবর দেখলেও এবার তা সরেজমিনে দেখে অভিভূত স্থানীয়রা।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

