জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় ঝিনাই নদীতে গোসল করতে নেমে ৩ শিশুর মৃত্যু ও ২ শিশু নিখোঁজের ঘটনার ১৮ ঘণ্টা পর আরও এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ জনে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে এক শিশু।
শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার সিধুলী ইউনিয়নের ঝিনাই নদী থেকে পানিতে ডুবে থাকা অবস্থায় কুলসুম (৮) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে চর ভাটিয়ানী আমতলী গ্রামের আজাদ মিয়ার মেয়ে।
মাদারগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ওয়ারহাউজ ইন্সপেক্টর মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, শুক্রবার ৩ শিশুর মরদেহ উদ্ধারের পর নিখোঁজ আরও ২ শিশুকে উদ্ধারে শনিবার সকাল থেকে আবারও অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। প্রায় ২ ঘণ্টা চেষ্টার পর কুলসুমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এখনো নিখোঁজ রয়েছে বৈশাখী (১০) নামে এক শিশু। তাকে উদ্ধারে অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেলে ঝিনাই নদীতে ৬ শিশু একসঙ্গে গোসল করতে যায়। তাদের মধ্যে ইয়াসিন নামের এক শিশু সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও বাকি ৫ শিশু নদীতে ডুবে যায়।
পরে শ্যামগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দলের সদস্যরা উদ্ধার অভিযান চালায়। সন্ধ্যার আগে চর ভাটিয়ানী মধ্যপাড়া গ্রামের দুদু মিয়ার দুই সন্তান পলি আক্তার (১২) ও আবু হোসেন (৮), এবং সরিষাবাড়ী উপজেলার বাউশী গ্রামের নূর ইসলামের মেয়ে সায়েবা আক্তার (৮)-এর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিখোঁজ দুই শিশুর মধ্যে কুলসুমের মরদেহ শনিবার সকালে উদ্ধার করা গেলেও বৈশাখী এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

