AB Bank
  • ঢাকা
  • বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫, ১৩ কার্তিক ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

অদক্ষ জনবল দিয়ে চলছে শেভরন



অদক্ষ জনবল দিয়ে চলছে শেভরন

ডিপ্লোমা সনদবিহীন অদক্ষ জনবল দিয়ে ব্লাড স্লাইড তৈরি এবং সনদবিহীন এক্স-রে টেকনোলজিস্ট দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রামের নামকরা শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধে। এসব অনিয়ম ধরা পড়ে সিভিল সার্জনের পরিদর্শনে।

সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে শেভরনের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ইস্যুকৃত চিঠিতে এসব নানা অনিয়মের তথ্য উঠে এসেছে। সোমবার (২৭ অক্টোবর) চিঠি ইস্যু করা হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ২৫ অক্টোবর জেলা সিভিল সার্জন ও ডেপুটি সিভিল সার্জন শেভরন পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে পাঁচটি অনিয়ম ধরা পড়ে। আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বিষয়গুলোর সঠিক ব্যাখ্যা দিতে হবে।

শেভরনের অনিয়মগুলো হলো- ডিপ্লোমা সনদবিহীন অদক্ষ জনবল দিয়ে ব্লাড স্লাইড তৈরি করা, এক্স-রে বিভাগে সনদবিহীন টেকনোলজিস্ট দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা, অনলাইন রিপোর্ট করার জন্য উপযুক্ত প্রমাণাদি না থাকা।

এ ছাড়া শেভরন পরিদর্শক টিমকে ভ্যাকসিন সেন্টার পরিচালনার উপযুক্ত দলিলাদি দেখাতে পারেনি। শেভরনের রক্ত রিপোর্ট প্রস্তুতিতে অসংগতি পাওয়া গেছে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের টিমের কাছে। শেভরনের অনিয়ম এই প্রথম নয়; নিয়মিত তাদের এমন অনিয়মের কারণে সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।

মৃত চিকিৎসকের নামে রিপোর্ট প্রদানের রেকর্ড কেবল শেভরনেরই রয়েছে। ২০১৫ সালে মারা যাওয়া হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মো. রেজাউল করিমের নামে রিপোর্ট প্রদান করত শেভরন। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৬ আগস্ট রোকেয়া বেগম নামে এক রোগীর ইকোকার্ডিওগ্রাফি রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে।

নানা অনিয়মের কারণে ১৮ অক্টোবর ২০২৩ চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার আওতাধীন শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মো. হাবিবুল আহসান তালুকদার স্বাক্ষরিত চিঠিতে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জনকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এর আগে ১ অক্টোবর ২০২৪ শেভরনের বিশেষায়িত হাসপাতালের দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ তলায় থাকা দুটি ফার্মেসিতে বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া যায়। শেভরন ফার্মেসিতে অতিরিক্ত মূল্যে ওষুধ বিক্রির পাশাপাশি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ করা হয়। ক্রেতাদের বিভ্রান্ত না করার জন্য মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ মেয়াদ আছে এমন ওষুধের সঙ্গে একই বক্সে রাখায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ১ লাখ টাকা জরিমানা করে।

এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট দিয়ে রোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রমাণিত হলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠানটিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করে।

 

একুশে সংবাদ/এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!