বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতা এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল ভালুকা পৌর শাখার অন্যতম যুবনেতা মিসবাহুল ইসলাম সা`দ।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে দেওয়া এক বিশেষ বার্তায় তিনি যুবদলের সকল নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “যুবদল সবসময় দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। বর্তমানেও করছে, ভবিষ্যতেও করবে। দলের প্রতি যুবদল কর্মীদের অবিচল আনুগত্য ও সংগ্রামী চেতনা দেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “যুবদল কেবল একটি রাজনৈতিক সংগঠন নয়, এটি একটি আন্দোলন ও একটি চেতনা যা তরুণদের দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে। আজকের এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হোক নতুন করে ঐক্য, শৃঙ্খলা ও দেশপ্রেমের শপথ নেওয়ার দিন। আমাদের দায়িত্ব দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের অধিকার রক্ষায় আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখা।”
সা`দ বলেন, “এই কঠিন সময়ে যুবদল অতীতের মতোই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। যুবদলের ইতিহাসই প্রমাণ করে, কোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও এই সংগঠন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে জানে।”
তিনি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই বিশেষ দিনে সকল যুবদল নেতা-কর্মীদের মধ্যে ঐক্য, শৃঙ্খলা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখার আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি দেশের সাধারণ মানুষের পাশে থেকে তাদের দুঃসময়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে আহ্বান জানান।
সা`দ আরও বলেন, “একের পর এক চ্যালেঞ্জের মুখেও আমরা কখনো পিছিয়ে যাইনি, যাবও না। আমাদের লক্ষ্য একটাই দেশের মানুষের কল্যাণ ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার।”
বার্তার শেষে তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিকনির্দেশনা অনুসরণ করে যুবদলকে আরও সুসংগঠিত, গতিশীল ও শক্তিশালী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
গণতন্ত্র ও দেশপ্রেমের অঙ্গীকারে লালিত তরুণ সংগঠক সা`দ রাজনীতিতে তার সক্রিয়, আদর্শনিষ্ঠ ও দায়িত্বশীল ভূমিকার মাধ্যমে ইতিমধ্যে ব্যাপক পরিচিতি অর্জন করেছেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন।
তিনি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন সময়েই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের একজন সক্রিয় ছাত্রনেতা হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে দু’দুবার নির্বাচিত হয়ে ভালুকা স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, যা তার নেতৃত্বগুণ ও সংগঠনিক সক্ষমতার প্রমাণ বহন করে।
এরপর তিনি জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ভালুকা পৌর শাখার আহবায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডেও যুক্ত থেকে ‘অভ্যুদয়’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে কাজ করেছেন, যা মানবিক উদ্যোগ, শিক্ষা ও সামাজিক কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
বর্তমানে সা`দ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল ভালুকা পৌর শাখার একজন সক্রিয় ও উদ্যমী যুবনেতা হিসেবে রাজপথে কাজ করে যাচ্ছেন। তরুণদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা ও দেশপ্রেম জাগ্রত করার পাশাপাশি তিনি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে যুব সমাজকে সংগঠিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
তার নেতৃত্বের মূল দর্শন “দেশের মানুষ, গণতন্ত্র ও তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ রক্ষাই রাজনীতির প্রকৃত লক্ষ্য।”এই বিশ্বাস থেকেই তিনি তার প্রতিটি কর্মকাণ্ডে দায়িত্ব, ত্যাগ ও নৈতিকতার পরিচয় দিয়ে চলেছেন।
৪৭ বছরের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এক অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছে। মিসবাহুল ইসলাম সা`দের বার্তায় সেই ঐতিহ্যেরই ধারাবাহিকতা প্রতিফলিত হয়েছে যেখানে তিনি যুব সমাজকে দেখছেন পরিবর্তনের অগ্রদূত ও গণতন্ত্র রক্ষার দৃঢ় সৈনিক হিসেবে।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

