ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আত্মহত্যা করা এক ২০ বছর বয়সী তরুণীর লাশের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগে আবু সাইদ (১৯) নামে এক ডোমকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
এই ঘটনায় হালুয়াঘাট থানার এসআই জামাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বাদী হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
ঐ মামলায় পুলিশ ঐ যুবককে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত আবু সাইদ হালুয়াঘাট উপজেলার খন্দকপাড়া গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে। তিনি মর্গে লাশ আনা-নেওয়ার কাজ করতেন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জসিম উদ্দিন " একুশে সংবাদ"ডটকম"কে জানান, রবিবার (১৯ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে হালুয়াঘাট উপজেলার ওই তরুণী ফাঁসিতে ঝুঁলে আত্মহত্যা করেন।
পরদিন (২০ অক্টোবর) সকাল ১১টায় অভিযুক্তরা লাশ মর্গে নিয়ে আসে। আসার পর চাবি নিয়ে মর্গে মরদেহ রেখে চলে যায়। পরে আধাঘণ্টা পর আবারও আবু সাইদ ও তার সঙ্গী এসে চাবি নিয়ে মর্গে ডুকে তরুনীর লাশের সাথে শারিরিক সম্পর্ক করে সেখানে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে মর্গের কর্তব্যরত ডোম এসে মর্গ অন্ধকার দেখতে পেরে লাইট জালায়। এ সময় আবু সাইদ ও তার সঙ্গীকে মর্গে ঘুমাতে দেখেন।
মরদেহ দেখে কর্তব্যরত ডোমের সন্দেহ হলে ডাক্তারকে খবর দেয়। ডাক্তার এসে ময়নাতদন্ত করে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়। তিনি আরও বলেন, ডাক্তার ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর হালুয়াঘাট থানায় খবর দেওয়া হয়। পরে হালুয়াঘাট থানা পুলিশ আবু সাইদ ও তার সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে আবু সাইদ ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করলে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
হালুয়াঘাট থানার এসআই জামাল জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদে আবু সাইদ তার অপরাধ স্বীকার করেছে।
কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মো. শিবিরুল ইসলাম জানান, আসামিকে বুধবার আদালতে পাঠানো হলে সেখানে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। পরে বিচারকের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
একুশে সংবাদ/এ.জে