AB Bank
  • ঢাকা
  • সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

নিয়ম নেই, তবুও অনুমোদন! স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশেই চলছে রেইনবো ডায়াগনস্টিক


Ekushey Sangbad
সায়েম খান, জেলা প্রতিনিধি মানিকগঞ্জ
০৪:৫০ পিএম, ২০ অক্টোবর, ২০২৫

নিয়ম নেই, তবুও অনুমোদন! স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশেই চলছে রেইনবো ডায়াগনস্টিক

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একদম পাশে গড়ে উঠেছে ‘রেইনবো ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। নীতিমালা বহির্ভূতভাবে স্থাপিত এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনও পেয়েছে, এমন অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের মধ্যে। নিয়মিতভাবে এর লাইসেন্স নবায়নও হচ্ছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, হাসপাতালের আল্ট্রাসনোগ্রাফি মেশিন সচল থাকলেও দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকরা নানা অজুহাতে রোগীদের ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠান। তাদের দাবি, হাসপাতালের এক কর্মচারীর শেয়ারহোল্ডার হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

সরেজমিনে জানা গেছে, সরকারি হাসপাতাল থেকে কমপক্ষে ১০০ মিটার দূরত্ব বজায় রেখে বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান স্থাপনের নিয়ম থাকলেও রেইনবো ডায়াগনস্টিক সেন্টার হাসপাতালের পূর্ব পাশের সীমানা প্রাচীরের গা ঘেঁষেই গড়ে তোলা হয়েছে। এর আগেও হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের যোগসাজশ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলেও প্রশাসনিক কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি।

রোগীদের অভিযোগ, হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাফির জন্য ডাক্তার না থাকায় চিকিৎসকরা সরাসরি রেইনবো ডায়াগনস্টিকে পাঠান। হাসপাতাল প্রাঙ্গণেই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কয়েকজন দালাল রোগীদের ভুল বোঝিয়ে নিয়ে যান সেখানে। দীর্ঘদিন ধরেই এমন অনিয়ম চললেও কর্তৃপক্ষের নীরবতা প্রশ্ন তুলেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মচারী জানান, রেইনবো ডায়াগনস্টিকের শেয়ারহোল্ডারদের একজন হলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহকারী সাইদুর রহমান। তবে সাইদুর রহমান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি কোনো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত নই।”

রেইনবো ডায়াগনস্টিকের ডিএমডি আবুল কালাম আজাদ (টিটু) বলেন, “আমাদের মোট শেয়ারহোল্ডার ২২ জন। সাইদুর রহমান তাদের মধ্যে নেই। আমাদের সেন্টারের বৈধ লাইসেন্স আছে। কিভাবে সেটা ইস্যু হয়েছে, সেটা কর্তৃপক্ষ জানে।”

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কাজী একেএম রাসেল বলেন, “আমি যোগদানের আগেই প্রতিষ্ঠানটি লাইসেন্স পেয়েছে। নবায়নের সময় বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম। তখন সিভিল সার্জন স্যার জানিয়েছিলেন, এখন নিয়ম পরিবর্তন হয়েছে। যদি কোনো অনিয়ম ধরা পড়ে, প্রশাসনের সহযোগিতায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, “হাসপাতালের ১০০ মিটারের মধ্যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্থাপনের সুযোগ নেই। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

একুশে সংবাদ/এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!