সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ট্যাংরা খালী গ্রামের মোঃ ফরিদ হোসেন ভ্রাম্যমাণ মধু চাষের মাধ্যমে বছরে ৭–৮ লাখ টাকা আয় করছেন। তিনি মৌসুম অনুযায়ী বিভিন্ন বাগানে মৌ-বাক্স স্থাপন করে মধু সংগ্রহ করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, একজন শ্রমিক ও এক কিশোর বালক সহ ফরিদ হোসেন মৌমাছির পরিচর্যা করছেন। তিনি জানান, পাঁচ বছর আগে মৌ-বাক্স স্থাপনের মাধ্যমে মধু সংগ্রহ শুরু করেন। নিজ জেলায় বাগান লিজ নিয়ে সফলভাবে মধু চাষ করার পর বর্তমানে বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ভ্রমণ করে মৌমাছি পালন করছেন।
বর্তমানে তিনি তিতাস উপজেলার কলাকান্দি ইউনিয়নের দড়িমাছিমপুর গ্রামে সড়কের পাশে একটি বাগানে ২৫০টি মৌ-বাক্স স্থাপন করে মৌমাছি পালন করছেন। শুরুতে তিনি ৪০টি মৌ-বাক্স দিয়ে মধু চাষ শুরু করেছিলেন। তিনি জানান, ৮ মাস ধরে মৌমাছি পালন করার পর শীত মৌসুমে চার মাস মধু সংগ্রহ করা হবে।
ফরিদ হোসেনের মতে, ২৫০টি বক্স থেকে মোট ২০–২২ মন মধু পাওয়া যাবে। ভরা মৌসুমে প্রতি বক্সে সপ্তাহে ৩–৪ বার মধু সংগ্রহ করা সম্ভব, যেখানে প্রতি বারে প্রায় দুই কেজি মধু পাওয়া যায়। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মধু ৮০০–১,০০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। তিনি আশা করছেন, চলতি বছর তিনি ৭–৮ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

