ইসলামী আন্দোলন ক্ষমতায় এলে মারামারি, হানাহানি ও কাঁটাকাটি থাকবে না। সাধারণ মানুষ যেখানে জানমালের নিরাপত্তা পাবে, সেখানেই ভোট দেবে। হিন্দুরাও নিরাপত্তা যেখানে পাবে, সেখানেই ভোট দেবে। ইসলামী আন্দোলন ক্ষমতায় এলে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জানমালের নিরাপত্তা রাষ্ট্রীয়ভাবে নিশ্চিত করা হবে।
রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় রামগঞ্জ জিয়া অডিটোরিয়ামে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রামগঞ্জ উপজেলা শাখা আয়োজিত নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম।
উক্ত সভায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রামগঞ্জ উপজেলা সভাপতি ডা. মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম আনুষ্ঠানিকভাবে লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের দলীয় প্রার্থী আলহাজ্ব জাকির হোসেন পাটোয়ারীর হাতে দলীয় প্রতীক ‘হাতপাখা’ তুলে দেন। তিনি বলেন, “পরিপূর্ণ ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠা করা প্রতিটি মুসলমানের ঈমানি দায়িত্ব। তাই সবাইকে ‘হাতপাখা’ মার্কায় ভোট দিতে হবে।”
প্রধান অতিথি আরও বলেন, “বিগত সময়ে যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তারা উন্নয়নের নামে লুটপাট করেছেন। এ উন্নয়ন আসলে কেবল ফাঁকি মাত্র। তারা নির্বাচিত হয়ে ঘুষ, মদ, বেহায়াপনা ও লুটপাটের লাইসেন্স দিয়েছেন এবং ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এমন উন্নয়ন আমরা চাই না।”
ফয়জুল করীম বলেন, “জনগণের ভোটাধিকার ও প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হলে সংসদে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের ভোটের অনুপাতে আসন বণ্টনের ব্যবস্থা (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন বা পিআর) চালু করতে হবে। বর্তমান পদ্ধতিতে অনেক ক্ষেত্রেই ভোটের অনুপাতে জনগণের মতামত সংসদে প্রতিফলিত হয় না। এতে একটি ক্ষুদ্র অংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসে, আর বিশাল জনগোষ্ঠীর মতামত উপেক্ষিত থাকে। এটি গণতন্ত্রের পরিপন্থী।”
তিনি আরও বলেন, পিআর পদ্ধতি চালু হলে দেশের প্রতিটি ভোটের মূল্য সমান হবে। এতে প্রকৃত জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠবে এবং জনগণের বিশ্বাস পুনরুদ্ধার হবে। ইসলামী আন্দোলন দীর্ঘদিন ধরে ভোটের মর্যাদা রক্ষার আন্দোলন করে আসছে।
ফয়জুল করীম আরও জানান, ৫৪ বছরে বাংলাদেশে যে উন্নয়ন হয়নি, ইসলামী আন্দোলন ক্ষমতায় এলে আগামী ৫–১০ বছরের মধ্যে তা সম্ভব। আমাদের লক্ষ্য কেবল রাস্তা-ঘাট নির্মাণ নয়, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ইফতেখার তারিক, লক্ষ্মীপুর জেলা সভাপতি মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন এবং ‘হাতপাখা’ এমপি পদপ্রার্থী আলহাজ্ব জাকির হোসেন পাটোয়ারী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা মো. মহিউদ্দিন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ইফতেখার তারিকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
একুশে সংবাদ/এ.জে
একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
