ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার গাজিরটেক ইউনিয়নের চর অমরাপুর গ্রামে গোখরার ছোবলে আসমা বেগম (৫২) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে নিজ বাড়িতে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত আসমা বেগম তিন মেয়ের জননী। তার মেয়েরা সবাই বিবাহিত এবং স্বামী মোকলেছ ফকিরের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে বসবাস করতেন। ঘটনার সময় স্বামী কৃষি কাজে ছিলেন।
মোকলেছ ফকির জানান, সন্ধ্যায় একা থাকা অবস্থায় মুরগি ধরে খাঁচায় দেওয়ার সময় রান্নাঘরের পাশে খড়ের ভেতর থেকে প্রায় ৪–৫ ফুট লম্বা একটি গোখরা সাপ উঠে এসে তার স্ত্রীর ডান হাতে ছোবল দেয়। তখন বাড়িতে কেউ উপস্থিত ছিলেন না; প্রতিবেশী পুরুষ ও আত্মীয়রা সবাই মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, সাপের কামড়ের পর এক হিন্দু প্রতিবেশী আসমা বেগমকে স্থানীয় হাজীগঞ্জ বাজারের এক ওঝার কাছে নিয়ে যান।
নিহতের মেয়ের জামাই মোস্তফা জামান জানান, সন্ধ্যা ৬টা ৩ মিনিটে সাপে কাটার খবর পান। তিনি দ্রুত চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগ করে ভ্যাকসিনের খোঁজ নেন। স্থানীয়দের সহায়তায় রোগীকে ওঝার বাড়ি থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হয়। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. হাবিবা জানান, হাসপাতালে আনার পর রোগীর স্বজনরা জানান যে তাকে বিষধর সাপ কামড়িয়েছে। তবে হাসপাতালে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। রোগীর পালস ও ইসিজি পরীক্ষা করে দেখা যায়, তিনি ইতিমধ্যেই মৃত্যুবরণ করেছেন।
পরবর্তীতে হাজীগঞ্জ মাদ্রাসা কবরস্থানে আসমা বেগমের দাফন সম্পন্ন হয়।
একুশে সংবাদ/এ.জে