ভালুকা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও আহ্বায়ক প্রার্থী মোকসেদুল ইসলাম ইকবাল কে ঘিরে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, একটি মহল দীর্ঘদিন ধরে তাঁর রাজনৈতিক ভাবমূর্তি নষ্ট করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে যার মধ্যে ভুয়া ছবি ও বিকৃত তথ্য ব্যবহার করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু এডিট করা ছবি ও বিভ্রান্তিকর পোস্ট ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যেখানে ইকবালকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের কিছু নেতার সঙ্গে দেখানো হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি নিছকই একটি ইমেজ-ড্যামেজ ক্যাম্পেইন, যার লক্ষ্য বিএনপির একজন ত্যাগী নেতাকে জনগণের চোখে বিতর্কিত করে তোলা।
মোকসেদুল ইসলাম ইকবাল বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আমি লক্ষ্য করছি একটি মহল আমার রাজনৈতিক অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য পরিকল্পিতভাবে ফেক ছবি তৈরি করছে। এর মাধ্যমে শুধু আমাকে নয়, বরং পুরো বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
মোকসেদুল ইসলাম ইকবাল বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন প্রায় ১৭ বছর ধরে। এই সময়ে তিনি জেল-জুলুম, মিথ্যা মামলা, রাজনৈতিক হয়রানি ও হুমকির মুখে থেকেও দলীয় আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি।
দলের আন্দোলন, সভা-সমাবেশ ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রতিটি পর্বে ইকবাল ছিলেন মাঠের প্রথম সারির একজন কর্মী।
স্থানীয় নেতারা বলছেন, “ইকবাল ভাইয়ের জনপ্রিয়তা এবং দলের প্রতি তাঁর অবিচল আনুগত্য কিছু মহলের গায়ে লাগছে। তাই তাঁকে সামাজিকভাবে হেয় করতে ভুয়া ছবি ও মিথ্যা তথ্য ব্যবহার করে ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে।”
ভালুকা উপজেলা বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা একযোগে এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তাঁদের ভাষায়, “ত্যাগী নেতাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অপপ্রচার করে কেউ লাভবান হতে পারবে না। বরং এতে দলের কর্মীরা আরও ঐক্যবদ্ধ হবে এবং আগামীর আন্দোলন-সংগ্রামে আরও দৃঢ় হবে।”
স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ ভুয়া ছবি ও অপপ্রচার অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানিয়ে প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা সতর্ক করে বলেছেন, “এ ধরনের নোংরা প্রচার যদি বন্ধ না হয়, তাহলে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
একটি রাজনৈতিক কর্মীর জীবনে ত্যাগ, সংগ্রাম ও সততার মূল্য আজও অপরিসীম। কিন্তু যখন প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয় বিভ্রান্তি ছড়ানোর অস্ত্র হিসেবে, তখন কেবল ব্যক্তি নয় গণতন্ত্রের ভিত্তিই কেঁপে ওঠে।
ভালুকার এই ঘটনাটি তাই কেবল একজন নেতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র নয়; এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির ওপরই একটি প্রশ্নচিহ্ন।
একুশে সংবাদ/এ.জে