ঘুষ দুর্নীতি ও নানা অভিযোগে অভিযুক্তে বিষয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকা সহ মিডিয়া সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর অবশেষে উজিরপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শাহানা পারভীনকে বদলি করেছে খাদ্য অধিদপ্তর।
বদলির সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে ৮ অক্টোবর থেকে। ওই কর্মকর্তাকে গৌরনদী উপজেলায় বদলি করা হয়েছে।
জাতীয় পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ ও ভুক্তভোগীদের সরাসরি অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, শাহানা পারভীনের বিরুদ্ধে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার নিয়োগে মোটা অংকের ঘুষ গ্রহণ, থ্রি-পিস কাপড় নেওয়া, একাধিক ডিলার প্রত্যাশী আবেদনকারীর কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া প্রতারণা সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি তার অধিনস্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়মিত মাশোহারা দিতে বাধ্য করতেন। নিয়মিত মাশোহারার টাকা না দিলে অফিস স্টাফদের হয়রানি সহ অপমানজনক আচরণ করতেন।
এমনকি সেবা প্রার্থী, ডিলার ও অফিসের বিভিন্ন কাজের জন্য তিনি নিয়মিত অর্থ দাবি ও আদায় করে নিতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন টাকা না দিলে আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতেন। অতীতেও বাকেরগঞ্জ ও বানাড়িপাড়ায় একই ধরনের অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।”
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মীর আব্দুল হক, ব্যবসায়ী লিমন হাওলাদার, সিদ্দিক সরদার জানান খাদ্য বান্ধব ডিলারশিপ নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে আমাদের কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষ গ্রহণ করেন। এবং অন্যদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে ডিলারশিপ দিয়ে দেন।
আমরা টাকা ফেরত চাইলে তিনি বলেন, আপনাদেরকে ডিলারশিপ পাইয়ে দেবে এমন কথা আমি কখনো বলিনি বলে সব জানিয়ে দেয় ভুক্তভোগীদের । টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্ন প্রকার তাল বাহানা করেন এবং হুমকি ও অসৎ আচরণ করেন ।
শিকারপুরের বাজারে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে থ্রি -পিস আদায় করে নেওয়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভাইরাল হয়ে ছিল। উজিরপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শাহনা পারভীনের বদলি খবর শুনে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ভুক্তভোগীরা মিষ্টি বিতরণ করেন।
একুশে সংবাদ/এ.জে