নাটোরের বড়াইগ্রামে বিয়ের দাওয়াতে যাওয়ার পথে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামীর মৃত্যুর ১১ ঘণ্টা পর স্ত্রীও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাত ১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। একই দুর্ঘটনায় ওই দম্পতির দুই ছেলে গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বড় ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চারজন, আহত হয়েছেন দুজন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বনপাড়া–কুষ্টিয়া মহাসড়কের গুনাইহাটি এলাকায় যাত্রীবাহী একটি ব্যাটারিচালিত অটোভ্যান রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগামী একটি বাস চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান বনপাড়া পৌর শহরের কালিকাপুর মহল্লার মৃত অফেসউদ্দিনের ছেলে আনছার আলী (৬০), লালপুরের ধলা গ্রামের নফেল ইসলামের ছেলে নয়ন ইসলাম (২৮) এবং একই গ্রামের ইদু প্রামাণিকের ছেলে ভ্যানচালক মুনছের প্রামাণিক (৬৫)।
গুরুতর আহত হন আনছার আলীর স্ত্রী রাশিদা বেগম (৫৪) ও তাদের দুই ছেলে রানা (৩৬) এবং রাসেল (২৬)। পরে রাত ১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাশিদা বেগম মারা যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাঁচজন যাত্রী নিয়ে অটোভ্যানটি গুনাইহাটি মোড়ে সড়ক পার হচ্ছিল। এ সময় রংপুর থেকে কুষ্টিয়াগামী “কল্পনা এক্সপ্রেস” নামের একটি যাত্রীবাহী বাস ভ্যানটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত ও তিনজন গুরুতর আহত হন।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোরশেদ আলম বলেন, “ঘাতক বাসটি আটক করা হয়েছে, তবে চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।”
স্থানীয়দের দাবি, ওই সড়কে যানবাহনের বেপরোয়া গতির কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। তারা দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় গতিনিয়ন্ত্রণে স্পিডব্রেকার ও ট্রাফিক নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
একুশে সংবাদ/এ.জে
একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
