কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ফসলি জমি থেকে অবৈধ ড্রেজারের মাধ্যমে মাটি কেটে বিক্রি করছে একটি চক্র। উপজেলার চাপিতলা ইউনিয়নের চাপিতলা গ্রামের দক্ষিণ-পশ্চিম বিলে তিন ফসলি জমি কেটে ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি উত্তোলনের ফলে স্থানীয় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের খলিল মিয়ার ছেলে মীর আলমগীর দীর্ঘদিন ধরে জমিতে ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলন করছেন। পাইপলাইনের মাধ্যমে কাটা মাটি কখনো অন্য ফসলি জমি, আবার কখনো পুকুর বা গর্ত ভরাটে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে আবাদি জমি জলাশয়ে পরিণত হচ্ছে এবং আশপাশের জমিও চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।
এছাড়া উপজেলার সীমানাপাড় এলাকায় ২টি, কোরবানপুর জিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষিণে ১টি, সেখান থেকে আরও দক্ষিণে ২টি এবং কোরবানপুর নতুন কবরস্থানের পাশে ১টি ড্রেজার অবৈধভাবে মাটি কাটছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, ড্রেজার সিন্ডিকেট প্রথমে জমিতে গভীর গর্ত তৈরি করে, পরে আশপাশের জমি ভেঙে পড়লে মালিকদের জিম্মি করে কম দামে জমি বিক্রি করতে বাধ্য করে। এতে কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়ছেন। স্থানীয়দের দাবি, অবৈধ ড্রেজিংয়ে শুধু জমিই নয়, আশপাশের রাস্তা ও ঘরবাড়িও হুমকির মুখে পড়ছে। দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চান তারা।
এ বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস বলেন, “আলমগীর বিএনপির নাম ভাঙিয়ে এই ড্রেজার ব্যবসা চালাচ্ছেন, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমরা চাই এই এলাকায় কোনো ড্রেজার চলুক না।”
অভিযুক্ত ড্রেজার ব্যবসায়ী মীর আলমগীর অবশ্য বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, “আমি ড্রেজার ভাড়ায় এনেছি আমার নিজস্ব জমি ভরাটের জন্য।”
মুরাদনগরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাকিব হাছান খান বলেন, “অবৈধ ড্রেজিং বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
একুশে সংবাদ/এ.জে