মালিক-শ্রমিক দ্বন্দ্বের জেরে দ্বিতীয় দিনেও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহী-নাটোর হয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রাম রুটে বেশিরভাগ দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
জানা গেছে, শ্রমিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে—তারা খোরাকি ভাতা দাবি করে যত্রতত্র বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রী তুলছেন এবং অতিরিক্ত ভাতার দাবিও করছেন। এ অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে বাস মালিক পক্ষ দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়।
তবে শুক্রবারও অধিকাংশ বাস বন্ধ থাকলেও একতা ও শ্যামলী পরিবহনের কয়েকটি বাস চলতে দেখা গেছে। হানিফ, দেশ, ন্যাশন্যালসহ বেশ কিছু পরিবহনের বাস বন্ধ ছিল।
বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বজলুর রহমান রতন বাস চলাচল বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আজ শনিবার দুপুর ১২টায় রাজশাহীতে শ্রমিক নেতা ও মালিক পক্ষের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চলছে।
অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ট্রাক, ট্যাংক লরি ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সাইদুর রহমান জানান, সম্প্রতি ঢাকায় শ্রমিক ও মালিক পক্ষের বৈঠক সন্তোষজনকভাবে শেষ হয়। ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কথা ছিল। কিন্তু মালিক পক্ষ তা বাস্তবায়নের আগেই একতরফাভাবে বাস বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, “যত্রতত্র যাত্রী তোলার বিষয়টি সত্য নয়। যাত্রী যেখানে নামতে চান শুধু সেখানেই নামানো হয়। দু-একজন যাত্রী উঠলেও তার হিসাব মালিকপক্ষকে দেওয়া হয়।”
এর আগে চলতি মাসেই বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে দুদফা বাস বন্ধ করে চালক, হেলপার ও সুপারভাইজাররা। সর্বশেষ ২২ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন শ্রমিকরা। ২৩ সেপ্টেম্বর বিকেল পর্যন্ত একতা ছাড়া বাকি সব বাস বন্ধ ছিল।
একুশে সংবাদ/এ.জে