AB Bank
  • ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৯ আশ্বিন ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

মামার কাছে ভাগ্নের চাঁদা দাবি, বাসা থেকে উচ্ছেদের অভিযোগ


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ
০২:২৭ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

মামার কাছে ভাগ্নের চাঁদা দাবি, বাসা থেকে উচ্ছেদের অভিযোগ

কিশোরগঞ্জে মামাকে বাসা থেকে উচ্ছেদ করে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে ভাগ্নের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মামা হাজী আবুল হাসান হাশিম আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। গত ২ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ জজ কোর্টের আমল গ্রহণকারী আদালত নং-১ এ মামলাটি দায়ের করা হয়।

অভিযুক্তরা হলেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার গাইটাল ব্যাংক কলোনি রোডের মৃত আব্দুর রশিদের দুই ছেলে জহিরুল ইসলাম (৪৫), মকবুল হোসেন (৫০) ও মকবুল হোসেনের ছেলে মনির হোসেন (২২)। তাদের সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত হয়েছেন সদর সাবরেজিস্ট্রি অফিসের অফিস সহায়ক হারুয়া এলাকার মৃত মিন্টু মিয়ার ছেলে এনামুল (২৭), মহিনন্দ ইউনিয়নের মুস্তাক (৫০) এবং পাকুন্দিয়া উপজেলার ছোট আজলদী গ্রামের নইমুল্লার ছেলে আব্দুল মালেক (৪০)।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ শহরের রথখলা এলাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে হাজী আবুল হাসান হাশিম এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।

তিনি জানান, ২০০৬ সালের ১০ অক্টোবর ও ২০০৮ সালের ১৭ নভেম্বর ভাগ্নে জহিরুল ইসলাম ও মকবুল হোসেনের কাছ থেকে সোয়া চার শতাংশ জমি ক্রয় করেন। পরে মাটি ভরাট করে সেখানে আধাপাকা ভবন নির্মাণ করে বসবাস ও ভাড়া দিয়ে আসছিলেন। জমি কেনার সময় ভাগ্নেদের বিশ্বাস করে দলিল রেজিস্ট্রির দায়িত্ব তাদের উপর ছেড়ে দেন। তবে সকল কাগজপত্র, গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ তার নামেই ছিল।

প্রায় দুই বছর আগে অভিযুক্তরা দাবি করে জমির দাগ নম্বর ভুল আছে এবং আদালতের মাধ্যমে সংশোধন করতে হবে। তাদের কথায় আবুল হাসান মামলা দায়ের করলে ওই সুযোগে ভাড়াটিয়াদের বের করে দিয়ে বাসা দখল করে নেন ভাগ্নেরা। পরে বিষয়টি পারিবারিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তিনি।

এরপর গত ১৫ জুলাইসহ বিভিন্ন সময়ে অভিযুক্তরা তার কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। শুধু তাই নয়, এনামুল, মুস্তাক ও আব্দুল মালেক তার গ্রামের বাড়িতেও গিয়ে চাঁদার টাকা দিয়ে সমস্যা মীমাংসার জন্য চাপ দেন এবং বাসায় গেলে খুনের হুমকিও দেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

অভিযুক্ত জহিরুল ইসলাম বলেন, “আদালতে মামলা রয়েছে, বিষয়টি আদালতই দেখবে।”

সাবরেজিস্ট্রি অফিসের অফিস সহায়ক এনামুল হক অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, “অভিযোগ মিথ্যা। নিউজ করলে সমস্যা নেই, তবে দয়া করে আমার স্যারের কাছে বলবেন না, বললে চাকরি থাকবে না।”

এসময় সংবাদ সম্মেলনে হাজী আবুল হাসান হাশিমের স্ত্রী শুভা হাসান, শ্বশুর ফরিদ মিয়া, বড় ভাই মোহাম্মদ আলী ও ভাই আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

অভিযুক্ত এনামুলের বিষয়ে জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ জেলা রেজিস্ট্রার আব্দুল খালেক বলেন, “ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দিলে এনামুলের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

একুশে সংবাদ/কি.প্র/এ.জে

Link copied!