চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে কীটনাশক পান করার ১২ দিন পর রিনি খাতুন (২৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। রিনি খাতুন জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের আলিহিমের মেয়ে। কীটনাশক পান করার ১২ দিন পর সোমবার রাত ৩টার দিকে বাবার বাড়িতে তার মৃত্যু হয়।
রিনি খাতুনের পিতা আলিহিম জানান, তার মেয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর সকালে সবার অজান্তে বাড়িতে রাখা ঘাসপোড়া কীটনাশক পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিন দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর অবস্থার অবনতি দেখা দিলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থেকে কিছুটা উন্নতি দেখা দিলে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। বাড়িতে থাকার পর মঙ্গলবার রাত তিনটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, তার মেয়ে ছোট বেলায় ছাদ থেকে পড়ে মাথায় আঘাত পেয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছিল। গত দুই বছর আগে পারিবারিকভাবে তার প্রথম বিয়ে হয়। ওই সংসারে বনিবনা না হওয়ার কারণে বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। এরপর তিন মাস আগে দর্শনা থানার নাস্তিপুর গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে আরিফুল ইসলামের সঙ্গে তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মেয়ে জামাইয়ের বাড়িতেই থাকতো।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মামুন হোসেন বিশ্বাস জানান, বিষপান করার কারণে ডুমুরিয়া গ্রামে এক গৃহবধূর আত্মহত্যার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। সুরাতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চুয়াডাঙ্গায় প্রেরণ করা হয়েছে। এই বিষয়ে জীবননগর থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরবর্তী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
একুশে সংবাদ/চু.প্র/এ.জে