AB Bank
  • ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ধামরাইয়ে অটোরিকশা চালক খুন: পরকীয়া ও ছিনতাইয়ের জালে প্রাণ গেল সায়েদুরের


Ekushey Sangbad
নাজমুল করিম, সাভার, ঢাকা
০৩:৩৫ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ধামরাইয়ে অটোরিকশা চালক খুন: পরকীয়া ও ছিনতাইয়ের জালে প্রাণ গেল সায়েদুরের

ঢাকার ধামরাইয়ে অটোরিকশা চালক সায়েদুর রহমান হত্যা ও অটোরিকশা ছিনতাইয়ের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা (পিবিআই)। দুই বছর আগে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে সদর আলী ও আলমগীর নামে দুইজন।

মঙ্গলবার দুপুরে পিবিআই ঢাকা জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পরকীয়া সম্পর্ক ও অর্থসংকটের জটিল টানাপোড়েন থেকেই এ হত্যাকাণ্ডের সূত্রপাত। আসামিরা আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করেছে।

২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর সকালে ধামরাইয়ের বাইশাকান্দার কেষ্টখালী গ্রামের একটি ধানক্ষেতের পাশে অজ্ঞাতনামা এক পুরুষের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ধামরাই থানার এসআই আব্দুল জব্বার বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটির তদন্তভার পান এসআই পাভেল মোল্লা। তদন্তে নিহতের পরিচয় শনাক্ত হয়—তিনি ছিলেন অটোরিকশা চালক সায়েদুর রহমান। পরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে মামলাটির তদন্তভার পিবিআইয়ের হাতে যায় এবং এসআই আনিসুর রহমান তদন্ত শুরু করেন।

পিবিআই ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার কুদরত-ই-খুদা জানান, তথ্য-প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন সদর আলী ওরফে সোহরাব (৪৭) কে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১৮ সেপ্টেম্বর মূল আসামি আলমগীর (২৫) গ্রেপ্তার হয়। পরদিন আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

জবানবন্দি অনুযায়ী জানা যায়, আসামি সদর আলী (৪৭), আলমগীর (২৫) ও জুয়েল একই বাসার পাশাপাশি রুমে বসবাস করতো। আলমগীর ও জুয়েল অবিবাহিত ছিলেন। একপর্যায়ে সদর আলীর স্ত্রী ও জুয়েলের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে জুয়েল, আলমগীরের সহায়তায় সদর আলীর স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায়। কিছুদিন পর তিনি আবার স্বামীর কাছে ফিরে আসেন। এদিকে সদর আলী ও আলমগীর, নিহত সায়েদুর রহমানের স্ত্রীর সঙ্গেও সম্পর্ক করার চেষ্টা চালায়।

নগদ টাকার প্রয়োজন হলে তারা সায়েদুর রহমানের অটোরিকশা ছিনতাই ও হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে গান শোনার কথা বলে বাইরে নিয়ে যায়। ফেরার পথে কেষ্টখালী গ্রামের নির্জন স্থানে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে, হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এরপর সায়েদুরের অটোরিকশা ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে টাকা ভাগাভাগি করে নেয়।

পিবিআই ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার কুদরত-ই-খুদা বলেন, “দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রকাশ্য ও গোপনে তদন্ত শুরু করি। তথ্য-প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামিদের গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করি। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। নগদ টাকার প্রয়োজনে পরিকল্পিতভাবে তারা ভিকটিমকে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই করে বিক্রি করেছে।”

 

একুশে সংবাদ/ঢা.প্র/এ.জে

Link copied!