পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার শ্রীরামপুর ও মুরাদিয়া ইউনিয়নের পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় এলাকাবাসী প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করছে। মুরাদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মুরাদিয়ার পশ্চিম মুরাদিয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মুরাদিয়া নদীর (বর্তমানে খাল) ওপর স্থানীয়দের সহযোগিতায় নির্মিত এ বাঁশের সাঁকোটি এখন জরাজীর্ণ ও নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। ফলে এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, পশ্চিম মুরাদিয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়, সালামপুর মাইনুল উলুম মাদ্রাসা, লতিফ মোহসেনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মুরাদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ মুরাদিয়া মহিলা ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীদের প্রতিদিন এই সাঁকো পার হয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এছাড়া এলাকাবাসী উপজেলা শহরসহ পার্শ্ববর্তী জামলা ও কলবাড়ী বাজারে যাতায়াতের ক্ষেত্রেও এই সাঁকো ব্যবহার করছেন।
অভিযোগ রয়েছে, বিষয়টি জনপ্রতিনিধিদের বারবার জানানো হলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া আয়েশা আক্তারসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, ঝুঁকিপূর্ণ এই সাঁকো পার হতে গিয়ে তাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। অনেক সময় পা পিছলে পানিতে পড়ে বইপত্র নষ্ট হয়, কেউ কেউ আহতও হয়েছে। তারা বলেন, এখানে একটি স্থায়ী ব্রিজ নির্মিত হলে নিরাপদে যাতায়াত করা সম্ভব হতো।
একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক কামাল হাওলাদার বলেন, "সাঁকোটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হলেও ছেলেমেয়েদের বাধ্য হয়ে এ সাঁকো পার করেই স্কুলে পাঠাতে হয়।"
মুরাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ফোরকান বলেন, "এলাকাবাসীর কল্যাণ এবং কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে এ বাঁশের সাঁকোর স্থানে একটি আয়রন ব্রিজ নির্মাণ জরুরি। ইউনিয়ন পরিষদের কাছে অন্য কয়েকটি ব্রিজের মালামাল আছে। উপজেলা পরিষদ থেকে কিছু টাকা বরাদ্দ পেলে এখানে একটি আয়রন ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। বিষয়টি এলজিইডিকেও জানানো হয়েছে।"
দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুজর মো. ইজাজুল হক বলেন, "বিষয়টি তদারকি সাপেক্ষে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
একুশে সংবাদ/প.প্র/এ.জে