বর্ষার পানি নেমে যাওয়ায় জমিতে নেমে পড়েছেন কৃষকরা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাদা–পানিতে হাড়ভাঙা খাটুনির মধ্য দিয়ে চলছে আমন রোপণের কাজ।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে দেখা গেছে, প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও কৃষকরা আমন ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত। পরিবারের অন্ন যোগান ও জীবিকার তাগিদে তারা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, আমন ধান এ অঞ্চলের প্রধান আয়ের উৎস। সময়মতো বৃষ্টি হওয়ায় রোপণে তেমন সমস্যা হয়নি। তবে সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদের মধ্যে শঙ্কা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে বাউফলে ৩৪ হাজার ৭১৮ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে—উফশী: ১৮ হাজার ৭৮৮ হেক্টর, হাইব্রিড: ২০ হেক্টর, স্থানীয় জাত: ১৫ হাজার ৯১০ হেক্টর ।
এর বিপরীতে ইতোমধ্যে মোট ২৮ হাজার ৩৮৪ হেক্টরে রোপণ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে উফশী ১৫ হাজার ১২২ হেক্টর, স্থানীয় জাত ১৩ হাজার ২৫২ হেক্টর এবং হাইব্রিড ১০ হেক্টর জমিতে চারা রোপণ শেষ হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মিলন বলেন, “উফশী আমনের রোপণের জন্য এখন অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে। কৃষকদের পরামর্শ, সার ও বীজ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি, এ বছর আমনের বাম্পার ফলন হবে।”
কৃষকরা জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষা পেলে এবার ভালো ফলন ও ন্যায্যমূল্য পেয়ে ঘরে ফিরবে স্বচ্ছলতা।
একুশে সংবাদ/প.প্র/এ.জে