ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ৫নং সহনাটি ইউনিয়নের সোনাকান্দি গ্রামের ছাত্রনেতা হুমায়ুন কবির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে গ্রামে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আসামি হিসেবে অভিযুক্ত মোঃ মাসুদ রানা, মেহেদী হাসান টুটুল ও মজিবুর রহমান বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) গৌরীপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে মোঃ মাসুদ রানা বলেন, “গত ১৩ জুলাই সোনাকান্দি গ্রামের তারা মিয়ার চায়ের দোকানে ছাত্রনেতা হুমায়ুন কবিরকে দুর্বৃত্তরা নির্মমভাবে হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে গ্রামের পল্লী চিকিৎসক এ.বি. সিদ্দিক ও তার চাচাতো ভাই মিজানুর রহমান খোকনের নেতৃত্বে হামলাকারীরা হুমায়ুনের পিতা আব্দুল কাইয়ুমকে উসকানি দিয়ে আমাদের বাড়িঘরে লুটপাট চালায়। এ সময় গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি ও পুকুরের মাছ লুট করে নেয়া হয় এবং মহিলাদের শ্লীলতাহানি ঘটানো হয়।”
তিনি আরও জানান, ঘটনার দিন তিনি তার সার ও কীটনাশকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পাছার বাজারে অবস্থান করছিলেন। মামলার ৫নং আসামী মেহেদী হাসান টুটুল ছিলেন শ্বশুরবাড়ি ৪নং মাওহা ইউনিয়নের নহাটা গ্রামে এবং ৮নং আসামী মজিবুর রহমান ছিলেন পাছার বাজারের তার নিজস্ব চায়ের দোকানে। এ সংক্রান্ত স্বাক্ষীও রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তারা অভিযোগ করেন, মিথ্যা মামলার আসামি হয়ে তাদের তিনটি পরিবার আজ নিঃস্ব। লুটপাট ও অগ্নিসংযোগে তাদের সম্পদ নষ্ট হয়েছে এবং পরিবারের নারী সদস্যরাও শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন। বর্তমানে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
তারা আরও বলেন, “হুমায়ুন হত্যার প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক এবং নির্দোষ ব্যক্তিদের এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।”
এছাড়া তারা গৌরীপুর সার্কেল কর্মকর্তা ও থানার দায়িত্বশীলদের প্রতি আহ্বান জানান, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ন্যায়বিচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
একুশে সংবাদ/ম.প্র/এ.জে