গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, “বিচার ও সংস্কার এই মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রধান জাতীয় স্বার্থ। এই দুই বিষয়কে নির্বাচনের মুখোমুখি দাঁড় করানো কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না।”
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) গণসংহতি আন্দোলনের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সাকি বলেন, “নির্বাচন আমাদের সংস্কার সম্পন্ন করার জন্যই দরকার। বিচারকে এগিয়ে নেওয়ার জন্যই নির্বাচন অপরিহার্য, এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের সংস্কারের জায়গায় পৌঁছানো এবং জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন করা সম্ভব।”
তিনি আরও বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশনসহ সব আন্দোলনকারী দল মিলিতভাবে মনিটরিং কমিটি গঠন করবে, যাতে নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত হলে তা রোধ করা যায়। “অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ ঘটাতে পারি, যা বর্তমান ষড়যন্ত্র ও ভু-রাজনীতির মোকাবিলায় সহায়ক হবে,” যোগ করেন তিনি।
জোনায়েদ সাকি বলেন, “বাংলাদেশ বর্তমানে একটি ক্রান্তিলগ্নে আছে। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটলেও পুরো ব্যবস্থা পরিবর্তিত হয়নি। সংবিধানিক ক্ষমতার কাঠামোর সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। ১৯৭২ সালের সংবিধান মূলত স্বৈরতান্ত্রিক ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করেছিল, যা আমাদের দেশে একের পর এক স্বৈরাচারী শাসনের পথ প্রশস্ত করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরতান্ত্রিক শক্তি এখনও গণঅভ্যুত্থান ও জনগণের আত্মত্যাগকে অস্বীকার করছে। বিদেশ ও দেশের ভেতরে ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে, অর্থ যোগান দিয়ে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের তৎপরতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে। তবে জনগণ চায় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, অধিকার ও মর্যাদার নিশ্চয়তা। আমরা যে কোন ধরনের অন্যায় ও ষড়যন্ত্র রুখে দিতে আইন এবং গণতান্ত্রিক অধিকার মেনে পদক্ষেপ নেব।”
এসময় উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
একুশে সংবাদ/সা.প্র/এ.জে
 
    
 
                        

 
                                         
                                             
                                                        
                             একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন 
												 
												 
												 
												 
												 
												 
												 
												 
                                             
                                             
                                             
                                            
