ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিককে পুশইন করার পর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদের আটক করেছে। এছাড়া বিএসএফ ওই সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার কাছে আরও শতাধিক নারী-পুরুষকে পুশইনের জন্য জড়ো করেছে।
গত মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ভোর ৬টার দিকে দিনাজপুর ব্যাটালিয়ন (৪২ বিজিবি)-এর অধীনস্থ বাশালগাঁও বিওপি দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ৩৫১/১-এস সংলগ্ন এলাকা দিয়ে বিএসএফ বাংলাদেশি নাগরিকদের ফেরত পাঠায়। এ সময় বিজিবির টহল দল তাদের আটক করে।
৪২ বিজিবি জানায়, আটককৃতদের মধ্যে ছিলেন দুইজন পুরুষ, চারজন মহিলা এবং পাঁচজন শিশু।
আটককৃতদের নাম ও বয়স: মো. তবিবুর রহমান (৩৮), স্ত্রী শামীমা খাতুন (২৬), সন্তান আয়ান শেখ (৩), রেশমা খাতুন (৩৫), সুমাইয়া খাতুন (১৬), লামিয়া খাতুন (১১) ও সামিয়া খাতুন (৮), মো. আকতারুল ইসলাম (৩৩), স্ত্রী আঁখি আক্তার (২৪), সন্তান তাজিম উদ্দিন (৯) ও আয়াত খাতুন (৫) তাদের সবার বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার বিভিন্ন গ্রামে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছেন, প্রায় ৫-৬ বছর আগে কাজের সন্ধানে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতের মুম্বাইতে গিয়েছিলেন। প্রায় ৮১০ দিন আগে মুম্বাই পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে সীমান্তে হস্তান্তর করে।
বিজিবি জানায়, আটক ব্যক্তিদের জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মনিবন্ধন ও অন্যান্য নথিপত্র যাচাই করে নিশ্চিত করা হয়েছে যে তারা বাংলাদেশি নাগরিক। পরে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের হরিপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিজিবি জানায়, হরিপুর সীমান্তে মানবপাচার ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে তাদের কঠোর নজরদারি অব্যাহত রয়েছে এবং এ ব্যাপারে স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। অপর দিকে, ভারতীয় সূত্র জানিয়েছে, বিএসএফ শতাধিক বাংলাদেশিকে পুশইনের জন্য সীমান্তে অবস্থান করাচ্ছে এবং তারা দুই দিন ধরে সেখানে রয়েছেন।
একুশে সংবাদ/ঠা.প্র/এ.জে