বাংলাদেশ রেলওয়ের অভিজ্ঞ কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পরামর্শ ও দক্ষতায় দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প থেকে প্রায় ৬ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। অন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর এ প্রকল্প নতুনভাবে মূল্যায়ন করে এ সাশ্রয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। কিন্তু ডিপিপি সংশোধনের মাধ্যমে ব্যয় কমিয়ে আনা হয় ১১ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকায়। ফলে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় সম্ভব হয়েছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, রামু-ঘুমধুম পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ পরিকল্পনা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পুনর্বাসন, ভূমি অধিগ্রহণ, পূর্ত কাজ, সিডি-ভ্যাট, পরামর্শক সেবা, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ও কন্টিনজেন্সি খাত থেকেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হয়েছে।
২০১০ সালে ১,৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে অনুমোদিত এ প্রকল্পের কাজ ২০১৩ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নকশা পরিবর্তন, ব্যয় বৃদ্ধি ও ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় প্রকল্প বাস্তবায়ন বিলম্বিত হয়। পরে ২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ শেষ না করেই রেললাইন উদ্বোধন করেন।
অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রকল্প পুনর্মূল্যায়ন করা হয়। এতে ব্যয় কমে আসে ৬,৬৯৮ কোটি টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
প্রকল্প পরিচালক ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. সুবক্তগীন বলেন, “সরকারের সদিচ্ছা ও সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলেই প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় সম্ভব হয়েছে। এটি সরকারের বড় অর্জন।”
এই প্রকল্পে ১০১ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ ছাড়াও প্রায় ১,৩৬৭ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। কক্সবাজারের ঝিলংজা ইউনিয়নের চান্দেরপাড়ায় নির্মিত হয়েছে আধুনিক আইকনিক রেলস্টেশন, যেখানে তারকামানের হোটেল, শপিং মল, রেস্টুরেন্ট, শিশুযত্নকেন্দ্রসহ নানা সুবিধা থাকবে।
প্রকল্পে মোট ৯টি স্টেশন রয়েছে—দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, হারবাং, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ইসলামাবাদ, রামু ও কক্সবাজার। এছাড়া হাতির চলাচলের জন্য একটি ওভারপাস ও দুটি আন্ডারপাস নির্মাণ করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/চ.প্র/এ.জে
 
    
 
                        

 
                                         
                                             
                                                        
                             একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন 
												 
												 
												 
												 
												 
												 
												 
												 
                                             
                                             
                                             
                                            
