নওগাঁর মান্দায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এডিপি প্রকল্পের অর্থায়নে দুঃস্থ নারী, কৃষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে সেলাই মেশিন, স্প্রে মেশিন ও ছাতা বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার সতীহাট কছির উদ্দিন চৌধুরী তমিজ উদ্দীন চকদার উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব সামগ্রী হস্তান্তর করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপকারভোগীদের হাতে সামগ্রী তুলে দেন মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আখতার জাহান সাথী। এতে সভাপতিত্ব করেন গণেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বাবুল চৌধুরী।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউপি সচিব রফিকুল ইসলাম, হিসাব সহকারী মিঠু কুমার, ইউপি সদস্য বিমল কুমার, আব্দুল আলিম, হামিদুর রহমান, আস্থান আলী মোল্লা, শামসুর রহমান, শাহাদৎ হোসেন, কামরুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ লুৎফর রহমান, ধর্মীয় শিক্ষক কাজী আমিনুল ইসলাম এবং সাংবাদিক মাহবুবুজ্জামান সেতু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ইউএনও আখতার জাহান সাথী বলেন, “সরকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। আজকের এ উপহারগুলো শুধু সামগ্রী নয়, এগুলো স্বাবলম্বিতার প্রতীক। একজন নারী যখন সেলাই মেশিনে কাজ করে আয় করতে পারেন, তখন তিনি নিজের অবস্থান বদলে দিতে পারেন। কৃষকরাও আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদে উৎসাহ পান, সে লক্ষ্যেই স্প্রে মেশিন বিতরণ করা হয়েছে।”
গণেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বাবুল চৌধুরী বলেন, “এই ধরনের কর্মসূচি আমাদের এলাকায় সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আমরা চাই এ সহায়তা আরও বেশি করে প্রান্তিক মানুষের মাঝে পৌঁছাক।”
অনুষ্ঠানে উপকারভোগী রোকসানা বেগম বলেন, “আমি আগে অন্যের বাসায় কাজ করতাম। আজ একটি সেলাই মেশিন পেয়েছি, এখন নিজেই কাজ শুরু করতে পারব। সরকারকে ধন্যবাদ।”
কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, “এই স্প্রে মেশিন পেয়ে আমি অনেক খুশি। আমার জমিতে আগের চেয়ে সহজে কীটনাশক ছিটাতে পারব। খরচও বাঁচবে।”
বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তানহা আক্তার ছাতা হাতে নিয়ে বলে, “বৃষ্টির সময় স্কুলে আসতে অনেক সমস্যা হতো। এখন থেকে ছাতাটা সঙ্গে নিয়ে নিশ্চিন্তে স্কুলে যেতে পারব।”
অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা উপকারভোগীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং ভবিষ্যতে আরও কার্যক্রম নেওয়ার আশ্বাস দেন।
একুশে সংবাদ/ন.প্র/এ.জে