জামালপুরের সরিষাবাড়ীর পিংনা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের কাওয়ামারা-বারইপটল গ্রামের প্রায় ৩ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটি ৩৭ বছর যাবত বেহাল দশায় রয়েছে। ৩৭ বছর আগে, ১৯৮৮ সালের বন্যায়, রাস্তার মাঝ বরাবর একশ মিটার অংশ ভেঙে গিয়েছিল। দীর্ঘ সময় গ্রামবাসী সেই দুর্ভোগে ছিলেন। অবশেষে এনসিপি নেতা ডাঃ মোশাররফ হোসেন মিলনের ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কাওয়ামারা বিলপাড় দিয়ে প্রবাহিত বারইপটল গ্রামের প্রায় ৩ কিমি রাস্তা ৮৮ সালের বন্যার পর থেকে মেরামত হয়নি। রাস্তার মাঝখানে ভেঙে যাওয়া অংশটি গ্রামবাসীর চলাচলে বড় বাধা সৃষ্টি করেছে। প্রতিদিন দুই-তিন হাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে, ভাঙা রাস্তার কারণে পানি জমে এবং নানা প্রতিকূলতার শিকার হয়। গ্রামবাসী বারবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে মেরামতের আবেদন জানালেও কোনও প্রতিকার পাননি।

পরবর্তীতে, সরিষাবাড়ী উপজেলার জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম-সমন্বয়ক ডাঃ মোশাররফ হোসেন মিলনের ব্যক্তিগত উদ্যোগে সেচ্ছাশ্রমে ভাঙা রাস্তার উপর বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়।
স্থানীয়রা, যেমন—সাইদুল ইসলাম, শাহ-নেওয়াজ, বাবু মিয়া, সামান আলী, হাসান আলী, মোফাজ্জল হোসেন, সোমা বেগম, মনিজা বেগম প্রমুখ বলেন, “অনেকবার বিভিন্ন সময়ের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের জানিয়েও রাস্তা মেরামত হয়নি। আওয়ামী লীগের সময়ও অনেক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, কিন্তু কাজ হয়নি। ভাঙন এখন বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। বর্ষায় চলাচল করা প্রায় অসম্ভব। এমন সময় ডাঃ মোশাররফ হোসেন তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাঁশের সেতু নির্মাণ করেছেন, ফলে আমরা এখন নিরাপদে চলাচল করতে পারছি। আমরা তার জন্য দোয়া করি। তবে আমাদের দাবি, রাস্তা দ্রুত স্থায়ীভাবে সংস্কার করা হোক।”
এমন উদ্যোগে ডাঃ মোশাররফ হোসেন মিলন জানান, “এলাকাবাসী তাদের দুর্ভোগের বিষয়টি জানালে এনসিপি`র উদ্যোগে নিজ অর্থায়নে সেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। তবে পুরো রাস্তাটি এখনও বেহাল অবস্থায় রয়েছে।”
পিংনা ইউপি সচিব মোমিনুল ইসলাম বলেন, “আগামী প্রকল্পে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে রাস্তাটির সংস্কার কাজ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
পিংনা ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ফোন রিসিভ না করার কারণে তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ শওকত জামিল বলেন, “রাস্তাটির জন্য এখন পর্যন্ত কোনও আবেদন আসেনি। আবেদন পেলে পরবর্তীতে কাজ করা হবে।”
একুশে সংবাদ/জা.প্র/এ.জে