বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম ছোটবেলা থেকেই ছিলেন শান্ত স্বভাবের, তবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী। পড়াশোনার পাশাপাশি সমাজসেবামূলক কাজে আগ্রহী এই তরুণ ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন সহপাঠী ও এলাকার মানুষের আস্থার প্রতীক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ প্রাঙ্গণ তাঁকে রাজনীতির বড় স্কুলে পরিণত করে। অল্প সময়ের মধ্যেই সাংগঠনিক দক্ষতা, সাহসিকতা এবং বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি সবার নজর কাড়েন। তবে রাজনীতির মঞ্চে উঠে আসার পরও সেলিমুজ্জামান সেলিম কখনো তৃণমূল থেকে দূরে সরে যাননি। তিনি বিশ্বাস করেন, দলের আসল শক্তি গড়ে ওঠে তৃণমূলের কর্মীদের হাত ধরে।
মুকসুদপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম রাজু বলেন, “সেলিম ভাইয়ের সবচেয়ে বড় গুণ হলো, তিনি আমাদের সমস্যাকে নিজের সমস্যা মনে করেন। দিনরাত যেকোনো প্রয়োজনে আমরা তাঁর দ্বারস্থ হতে পারি।”
বাংলাদেশের রাজনীতির কঠিন সময়ে দমন-পীড়ন, মামলা-হামলা, গ্রেফতার ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। তবে এসব প্রতিকূলতা কখনোই সেলিমুজ্জামান সেলিমকে ভেঙে ফেলতে পারেনি। একাধিকবার গ্রেফতার, কারাবাস এবং দমননীতির শিকার হয়েও তিনি আরও দৃঢ় সংকল্পে মাঠে ফিরেছেন।
রাজপথেই তিনি সবচেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। জনসভা হোক কিংবা প্রতিবাদ মিছিল, সর্বত্র তাঁর উপস্থিতি চোখে পড়ে। নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে চলেন। এজন্যই তাঁকে নেতাকর্মীরা ডাকেন ‘রাজপথের সৈনিক’।
মুকসুদপুর উপজেলা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক এম. ওহিদুল ইসলাম বলেন, “যখনই আমরা ভয় পাই বা বিপদে পড়ি, সেলিম ভাই সামনে থাকেন। তাই তাঁর নাম শুনলেই আমাদের সাহস বেড়ে যায়।”
রাজনীতির কারণে পারিবারিক জীবনেও ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে তাঁকে। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, ব্যক্তিগত আরাম-আয়েশ সবকিছুই আন্দোলনের প্রয়োজনে ত্যাগ করেছেন। তবুও তিনি মনে করেন, জনগণের স্বার্থে এসব ত্যাগ সামান্যই।
সেলিমুজ্জামান সেলিমের সবচেয়ে বড় অর্জন হলো মানুষের ভালোবাসা। তাঁর বক্তব্যে আন্তরিকতা থাকে, আচার-আচরণে সরলতা। এজন্য তিনি শুধু নেতাকর্মীদের কাছেই নয়, সাধারণ মানুষের কাছেও আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।
তিনি তরুণ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণা। প্রমাণ করেছেন, আদর্শের পথে চলা সহজ নয়, তবে সাহস ও মনোবল থাকলে সবকিছুই সম্ভব। তাঁর ভাষায়, “নেতৃত্ব মানে শুধু নির্দেশ দেওয়া নয়; নেতৃত্ব মানে হলো জনগণের পাশে থেকে তাঁদের অধিকারের জন্য লড়াই করা।”
নেতাকর্মীরা বিশ্বাস করেন, সেলিমুজ্জামান সেলিমের মতো সাহসী নেতৃত্বই পারে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে এবং জনগণের প্রকৃত অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে। তাঁর নেতৃত্বে আগামী দিনে বিএনপি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে, এমনটাই আশা তৃণমূলের।
গোপালগঞ্জের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শুরু করে ঢাকা শহরের রাজপথ—সেলিমুজ্জামান সেলিমের রাজনৈতিক যাত্রা হলো সাহস, ত্যাগ আর জনগণের পাশে থাকার প্রতিজ্ঞার কাহিনি। তিনি রাজপথের নেতা, আবার মানুষেরও বন্ধু। তাঁর সংগ্রাম প্রমাণ করে, সত্যিকারের নেতৃত্ব মানে জনগণের পাশে দাঁড়ানো এবং অধিকার প্রতিষ্ঠার শপথ পালন করা।
একুশে সংবাদ/ গো.প্র/এ.জে