মোরেলগঞ্জ উপজেলা সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শর্মী রায়ের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মোঃ সাইদুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়েছে, করোনা কালীন সময়ে মাঠ কর্মীদের নামে বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে কেন বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হবে না তা ১০ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে হবে।
ডা. শর্মী রায় বর্তমানে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। একই জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলায় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় তার বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি এবং করোনাকালীন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বরাদ্দকৃত সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি তদন্ত কমিটি তদন্ত করে পিরোজপুরের সিভিল সার্জনের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়।
গত ১৩ আগস্ট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মোঃ সাইদুর রহমানের স্বাক্ষরিত নোটিশ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।
নোটিশে ডা. শর্মী রায়কে বলা হয়েছে: “যেহেতু আপনার উপর্যুক্ত কার্যকলাপ সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ৩(খ) অনুযায়ী অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে; সেহেতু আপনাকে উক্ত বিধিমালার অধীনে অভিযুক্ত করা হলো এবং কেন আপনাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত বা গুরুদণ্ড আরোপ করা হবে না, সে বিষয়ে নোটিশ প্রাপ্তির ১০ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।”
চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শর্মী রায় বলেন, “করোনাকালীন সময়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আমাকে ডাকা হয়েছে এবং ১০ কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।”
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন আ. স. মো. মাহবুবুল আলম বলেন, “এটি বিভাগীয় মামলা নয়, তাকে শোকজ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ তাকে ডেকেছে; পরবর্তী সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার পর জানা যাবে।”
একুশে সংবাদ/বা.প্র/এ.জে